কাতারে তুরস্কের সামরিক উপস্থিতি উপসাগরীয় অঞ্চলে শান্তির জন্য কাজ করেছে: এরদোগান
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী মুসলিম নেতা রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, কাতারে তুরস্কের সামরিক উপস্থিতি কেবল কাতারের জন্য নয় বরং পুরো উপসাগরীয় অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও শান্তির জন্য কাজ করেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) কাতারের সংবাদপত্র ‘দ্যা পেনিসোলা’য় প্রকাশিত এক সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন।
এরদোগান বলেন, বিশৃঙ্খলা তৈরির পরিকল্পনাকারী ব্যতীত অন্য কারোও উপসাগরীয় দেশ কাতারে তুরস্কের সহযোগিতা ও সামরিক উপস্থিতি দেখে বিরক্ত করা উচিত নয়। এসময় তিনি তুরস্ক-কাতার সম্মিলিত যৌথ বাহিনী কমান্ডকে দু’দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব, বন্ধুত্ব এবং সংহতির প্রতীক বলে অভিহিত করে বলেন, যারা এ ব্যাপারে খারাপ প্রচারণা চালাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য সৎ নয়।
সিরিয়ায় তুরস্কের অবস্থানের কথা উল্লেখ করে এরদোগান বলেন, তুরস্ক সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় একসময় সন্ত্রাস, নিষ্ঠুরতা ও নিপীড়নের সাথে জড়িত অঞ্চলগুলিতে স্থিতিশীলতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪ লক্ষেরও বেশি শরণার্থী স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন।
গৃহযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ এ দেশটির সঙ্কট স্থায়ীভাবে সমাধান হলেই সিরিয়ায় আমাদের উপস্থিতি শেষ হয়ে যাবে।
তুরস্ক-মার্কিন সম্পর্কের বিষয়ে এরদোগান বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সংঘাত অবসানের মতো বিষয়গুলিতে তুরস্ক আমেরিকার সাথে ন্যাটোসহ সব প্ল্যাটফর্মে একসাথে কাজ চালিয়ে যাবে। যদিও আমরা সময়ে সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে আমেরিকার সাথে পৃথক অবস্থান নিয়েছি তবে আমরা আমাদের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বের বিষয়টি ক্ষুণ্ন না করার বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছি।
লিবিয়া প্রসঙ্গে এরদোগান বলেন, লিবিয়ার বৈধ সরকারের অনুরোধে তুর্কি সশস্ত্র বাহিনী লিবিয়ায় প্রশিক্ষণ ও সহায়তা কার্যক্রম চালাচ্ছে। অন্যদিকে, যুদ্ধবাজ হাফতারের কোন বৈধতা বা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই।
পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় ইস্যুতে এরদোগান বলেন, যারা পূর্ব ভূমধ্যসাগরে আমাদের দৃঢ় প্রত্যয় দেখে বুঝতে পেরেছে যে তারা শুধু হুমকি এবং ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে আমাদের দেশকে পিছিয়ে নিতে পারবেনা না। অবশেষে তারা আমাদের আলোচনার আহ্বানে মনোযোগ দিয়েছে।
কারাবাখকে নিয়ে চলমান আর্মেনিয়া-আজারবাইজানীয় দ্বন্দ্বের ব্যাপারে এরদোগান বলেন, তুরস্ক আর্মেনিয়ান দখলকে নিন্দা জানিয়েছে এবং আজারবাইজানকে সমর্থন দেওয়ার শপথ করেছে।
তিনি বলেন, গণহত্যার ঘটনা ও আক্রমণগুলির ঘটনায় বহু বছর ধরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদাসীনতা আর্মেনিয়াকে আজারবাইজানীয় ভূমি দখল করতে সাহস যুগিয়েছে।
সূত্রঃ আনাদোলু এজেন্সি