আফগানের মাটি থেকে ট্রাম্পের সেনা সরানোর সিদ্ধান্তে খুশি তালেবান
খ্রিষ্ট্রান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিনের আগেই আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তালেবান জানালো, এটা ‘ইতিবাচক পদক্ষেপ’।
গত ফেব্রুয়ারিতে অ্যামেরিকা ও তালেবানের মধ্যে দোহা চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ২০ বছর পর আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাবে মার্কিন সেনা। প্রেসিডেন্ট ভোটের প্রচার চলার সময়ই ট্রাম্প টুইট করে জানিয়েছেন, ”বড়দিনের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে আমাদের সাহসী ছেলেমেয়েরা ঘরে ফিরবে।”
তালেবানের মুখপাত্র মুহাম্মাদ নঈম বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ট্রাম্প যে অ্যামেরিকা ও তালেবানের মধ্যে চুক্তি রূপায়ণে উদ্যোগী হয়েছেন, এটা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক পদক্ষেপ। আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।
ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন তালেবান ও মার্কিন মদদপুষ্ট আফগান সরকারের মধ্যে আলোচনা চলছে। দোহায় এই আলোচনায় দুই পক্ষই অনড় মনোভাব দেখাচ্ছে। ফলে আলোচনা খুব ধীর গতিতে এগোচ্ছে।
২০০১-এর ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে আল কায়দার আক্রমণের অভিযোগ এনে মার্কিনিরা আফগানিস্তানে হামলা শুরু করে। তারপর প্রায় ২০ বছর কেটে গেছে। অ্যামেরিকার ইতিহাসে এটাই সব চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী লড়াই।
ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি ছিল, এই দীর্ঘস্থায়ী লড়াই থেকে তিনি অ্যামেরিকার সেনাকে সরিয়ে আনবেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের সঙ্গে লড়াইয়ের মধ্যে তিনি সেই উদ্যোগ নিলেন।
অ্যামেরিকার সঙ্গে চুক্তির পরেই মার্কিন মদদপুষ্ট আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয় তালেবান। ২০১৪ সালে ন্যাটোর বাহিনী আফগানিস্তান ছাড়ে। এ বার মার্কিন সেনাও আফগানিস্তান ছাড়বে।