কাতারে তুরস্কের সামরিক উপস্থিতির কারণ বললেন এরদোগান

0

শুধু মাত্র কাতারে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য তুরস্কের সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি নয়, সমগ্র উপসাগরীয় অঞ্চলজুড়েই তুরস্ক শান্তি স্থাপন করতে চায়। বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান কাতারের দ্যা পেনিনসুলা পত্রিকার সাথে এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন।

সিরিয়াতে তুরস্কের অবস্থান সম্পর্কে এরদোগান জোর দিয়ে বলেন, কোন দেশের ভূখন্ডের উপর তার দেশের লোভ নেই। তারা স্থায়ীভাবে গৃহযুদ্ধ কবলিত দেশটিতে থাকবেন না। যখন সিরিয়ার সংকট কেটে যাবে, তখন আমরাও দেশটি হতে চলে আসব।

২০১৬ সাল থেকে এপর্যন্ত উত্তর সিরিয়াতে তুরস্ক তিনবার সফলভাবে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চালিয়েছে। এর মাধ্যমে দেশটি সন্ত্রাসী করিডোর গঠনের প্রচেষ্টা প্রতিহত করেছে এবং শান্তিপূর্ণভাবে জনজগনের পুনর্বাসন নিশ্চিত করেছে। এ অভিযানগুলো ইউফ্রেটাস শিল্ড(২০১৬), অলিভ ব্রাঞ্চ(২০১৮), পিস স্পিরিং(২০১৯) নামে পরিচিত।

লিবিয়াতে তুরস্কের ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, লিবিয়াতে ন্যাশনাল অ্যাকোর্ড হলো একমাত্র বৈধ সরকার ব্যবস্থা। এ বৈধতা তখনই সিদ্ধ হবে যখন বিদ্রোহীরা পরাজিত হবে।

২০১১ সালে গাদ্দাফির পতনের পর লিবিয়া গৃহ-যুদ্ধে বিধস্ত দেশে পরিণত হয়েছে।

জাতিসঙ্ঘের নেতৃত্বে এক চুক্তির মাধ্যমে ২০১৫ সালে গভর্ণমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকোর্ড (জিএনএ) গঠিত হয়। কিন্ত, জেনারেল হাফতারের অনুগতসেনাদের আক্রমণের কারণে দীর্ঘ মেয়দী রাজনৈতিক পুনর্বাসণ প্রক্রিয়া ব্যহত হয়। হাফতার মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত রাশিয়ার মদদে এসব দুষ্কর্ম করেন।

পূর্ব ভূ-মধ্য সাগর ইস্যুতে এরেদোগান বলেন, যারা পূর্ব ভূ-মধ্য সাগরে আমাদের দৃঢ়তা দেখেছে তারা বুঝতে পেরেছে হুমকি- ধামকির মাধ্যমে তারা আমাদের হটাতে পারবে না। এখন তারা আমাদের আলোচনার আহব্বানে সারা দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ন্যাটো, সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধ,বিভিন্ন সংঘাত নিরসনে এবং গনতন্ত্রসহ সকল ক্ষেত্রে সমন্বিতভাবে কাজ করবে।

কারাবাখ অঞ্চলে আজারবাইজান- আর্মেনিয়ার সংঘাত সম্পর্কে তিনি বলেন, আজারবাইজানের আরো অঞ্চল দখল করতে গিয়ে মারাত্মকভাবে পরাজিত আর্মেনিয়া বিভিন্ন কৌশলে তুরস্ককে এ সংঘাতে জড়াতে চাচ্ছে। এটা তাদের হতাশাগ্রস্ত ও বিপর্যস্ত অবস্থার প্রমাণ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com