মাদকাসক্ত পুলিশ সদস্যদের তালিকার পর ‘ডোপ টেস্ট’

0

ঢাকার পর এবার চট্টগ্রামেও পুলিশ সদস্যদেরও ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। সিএমপি কমিশনার বলছেন, কোন সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের প্রমাণ পাওয়া গেলেই নেয়া হবে ব্যবস্থা। 

এছাড়া মাদক ব্যবসার অভিযোগ আছে- এরকম পুলিশ সদস্যদের গোয়েন্দা নজরদারির পাশপাশি তাদের বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

২০১৬ সালে নগরীর নিউমার্কেট মোড় থেকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয় চান্দগাঁও থানার সাবেক এএসআই রিদওয়ান। দুবছর পর ২০১৮ সালে আবারো ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হন তিনি।

২০১৮ সালে বাকলিয়া থানার এসআই সাইফ উদ্দিনের বাসা থেকে ১৫ হাজার ইয়াবা ও মাদক বিক্রির ২ লাখ ৩১ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। ২০১৯ সালে আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনি থেকে ১০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হন পুলিশের এসআই সিদ্দিকুর রহমান।

পুলিশ সদস্যদের এরকম কর্মকাণ্ডে বিব্রত পুলিশ। পুলিশ বলছে, ব্যবসার পাশপাশি তাদের কোন সদস্য মাদকসেবী কিনা তা খতিয়ে দেখতেই ডোপ টেস্টের উদ্যোগ। 

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, তথ্য সংগ্রহ করছি, ‘সেখান থেকে আমরা যাব যাদের সন্ধেহ করছি তাদেরকেই  ডোপ টেস্ট করাবই। সবাইকে সময় দিয়েছি, ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ 

পুলিশের ভেতর শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে মাদক-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারি চাকরিতে যোগ দেয়ার আগে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয় ২০১৮ সালে। কিন্তু সীমাবদ্ধতাসহ নানা কারণে অনেক ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। 

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com