বেপরোয়া লাগামহীন ছাত্রলীগ রুখবে কে?

0

ছাত্রলীগের ব্যাপ্তি ও ভয়াবহতায় মনের ভেতর একটি প্রশ্নই ক্ষণে ক্ষণে জেগে উঠছে- ছাত্রলীগ কি অপ্রতিরোধ্য; এমনতর প্রশ্ন জাগাটাই স্বাভাবিক। কারণ ছাত্রলীগ এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে দেশের প্রধানমন্ত্রীর হুমকি-ধমকিতেও নাকি এখন আর কাজ হচ্ছে না। মারামারি, খুনাখুনি, রক্তারক্তি পরিস্থিতি এমনই ভয়াবহ রূপ ধারণ করে যে, সুধীসমাজ থেকে বারবার আহবান আসে ‘প্রধানমন্ত্রী, ছাত্রলীগকে সামলান’। ছাত্রলীগের বেপরোয়া আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের ‘অভিভাবকত্ব’ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন; প্রতিটি ঘটনায় হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা। যারা দল নেত্রীকে মানে না; যারা দেশের একজন প্রধানমন্ত্রীর রক্তচক্ষুকেও পরোয়া করে না তারা কতটা বেপরোয়া তা সহজেই অনুমেয়। আর তাদের কাছে সাধারণ মানুষের অসহায়ত্বের বর্ণনা দেয়ার বোধ করি প্রয়োজন পড়ে না।

ছাত্রলীগের দানবরূপী লাগামহীন পাগলা ঘোড়া ছুটছে তো ছুটছেই। আজ হল দখল, তো কাল কমিটিতে স্থান পাওয়া, টেন্ডারবাজি, ঝুট সন্ত্রাস, রাহাজানি- এসব নিয়ে বিভিন্ন সরকারি অফিস, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে একাধিক গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। চাঁদাবাজি, টেন্ডার, সন্ত্রাস সীমাহীন অশান্তি সৃষ্টি করেছে। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। সর্বশেষ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধে আবারো রক্তে রঞ্জিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বর। রক্তে ভিজেছে ছাত্রলীগ কর্মীদের শরীর। পত্রিকার পাতাগুলো লাল হয়ে উঠেছে রক্তভেজা ছবিতে। পিস্তল, রামদা, ছুরি-কিরিচ, হকিস্টিক-রড কী ব্যবহার হয়নি এই যুদ্ধে। আহত হয়েছে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে অর্ধশত ছাত্র। আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর।

নাজেহাল হয়েছেন ভাইস-চ্যান্সেলর ও চিকিৎসা কেন্দ্রের ডাক্তাররা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া এ ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে অন্যতম নৃশংস সংঘর্ষের ঘটনা। ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলীতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি হলে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। দু’জন গুলীবিদ্ধ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রোক্টরসহ কমপক্ষে অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন। যা খুবই অনাকাক্মিখত এবং মর্মান্তিক। সবুজ প্রান্তরে মেধাবী আহতদের নিথর দেহ পড়ে ছিল। আর তাই ফলাও করে ছেপেছে আমাদের সংবাদপত্রগুলো। এসব সংবাদে কেবল দেশবাসীর নয় হতবাগ বহির্বিশ্বও। এমন অবস্থায় প্রশ্ন জাগেই; ‘‘ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণ করবে কে?’’ এমন প্রশ্ন দলী সংগঠনটির নেতাকর্মীরও। অপ্রতিরোধ্য, লাগামহীন এবং বেপরোয়া কর্মকান্ডের কারণে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং দেশবাসীর মাঝে এ প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বারংবার। খোদ সরকার দলের সাধারণ সম্পাদক এলজিআরডিমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম অতি সম্প্রতি ছাত্রলীগের কৃতকর্মের দায়ভার আওয়ামী লীগ নেবে না বলেও ঘোষণা দেন এবং বলেন, ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের কেউ নয়। তাঁর বক্তব্য ভয়ংকর এ অর্থে যে তাঁর বক্তব্যে অসহায়ত্ব আর চরম ক্ষোভেরই বহিপ্রকাশ ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী আর মন্ত্রীরা অসহায় হলে আমরা সাধারণ মানুষ যাই কোথায়?

ছাত্রলীগের ব্যাপারে বিভিন্ন সময়ে আইন-শৃক্মখলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও কঠোর অ্যাকশন নিতে নির্দেশও দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু তাতেও নিবৃত্ত হচ্ছে না। একদিকে হুমকি-ধমকি; অন্য দিকে নেতা আর কতিপয় এমপির প্রশ্রয়ে যা হবার তাই হচ্ছে। ঘটনার পর মাঝেমধ্যে সাংগঠনিক ব্যবস্থা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কারের ঘটনাও কোন ফল দিচ্ছে না। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগের অভিভাবকত্ব না মানলেও ঘুরেফিরে ছাত্রলীগ কিন্তু আওয়ামী লীগকেই তাদের অভিভাবক বলে মানছে। যে যা-ই বলুক, জনগণও বিষয়টি বিশ্বাস করে না যে, ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের কেউ নয়। এ প্রসংগটি এলে নাকি হাস্যকর মনে হয় অনেকের কাছে। সুতরাং ছাত্রলীগের অপকর্মের দায়ভার এড়ানোর কোন সুযোগ নাই। বলতেই হয় ছাত্রলীগের চেইন অব কমান্ড একেবারেই ভেঙে পড়েছে।

কেন্দ্রীয় নেতাদের চেয়ে জেলা-উপজেলা শাখার নেতাদের বয়স অনেক বেশি। ফলে কেউ কাউকে মানছে না। সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, বিগত দেড় বছরে ছাত্রলীগ থেকে প্রায় পৌনে ৩শ নেতা বহিষ্কৃত হয়েছেন। সর্বশেষ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’গ্রুপে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় যে ১৩ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে কিন্তু বহিষ্কৃত নেতাকর্মীরাই কিছুদিন বাদে আবার খোলস পাল্টে যা-তাই হয়ে যাচ্ছে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা যদি মনে করে যে, যত রক্তপাতই করি না কেন, শান্তি হবে না। তবে এখন তারা যে ত্রাস সৃষ্টি করছে, তা সময় বুঝে বহুগুণে বাড়বে। জাহাঙ্গীরনগরের ঘটনায় ঢাকার সংবাদপত্রগুলো বিষয়টিকে যত গুরুত্ব দিয়ে ছেপেছে, দেশের অন্য কোন স্থানের খবর ততো গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয় না। সকল সংবাদ প্রকাশিত হলে ছাত্রলীগের অগ্নিমূর্তি সকলের কাছেই ধরা পড়তো। আমরা সারাদেশ থেকেই ছাত্রলীগের তান্ডবের এমন ভয়াবহ চিত্র পাই। ক’দিন আগে বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে দেখলাম ছাত্রলীগের অন্তর্কোন্দলের এমনি এক ভয়াবহ চিত্র।

বেঞ্চের ওপর শুইয়ে একই দলের প্রতিপক্ষ গ্রুপের এক ছাত্রকে জবাই করার চেষ্টা করছে। জবাই-এ উদ্যত ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরীহ ছাত্র আরিফকে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। তার শাস্তি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার। আছে সে বীরদর্পেই। বিষয়টা এমন বড় পাপ শাস্তি লঘু। তাই ছাত্রলীগ ধরাকে সরা জ্ঞান করছে বারবার। এ সরকার ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর থেকেই আমরা দেখেছি যে, ছাত্রলীগ দেশের সর্বত্র উন্মত্ত আচরণ শুরু করেছে। আর কোথায়ও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এখন অবশ্য ক্ষমতাসীন দল থেকে বলা হচ্ছে, ছাত্রলীগ তাদের অঙ্গ সংগঠন নয়। ছাত্রলীগের অপকর্মের দায় দলটি নেবে না এমন কথাও দেশের আকাশে বাতাসে ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু ছাত্রলীগকে শাসন করার কোন উদ্যোগ সরকার থেকে নেয়া হচ্ছে এমন আভাসও নেই। বরং ছাত্রলীগের বেপরোয়া আচার-আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান না নেয়ার কারণেই প্রশ্রয় পাচ্ছে সংগঠনটি।

অন্যদিকে ‘দায় নেবে না’ মুখে ক্ষমতাসীন দল এ কথা বললেও আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের অতীত, বর্তমান- হয়তো ভবিষ্যৎও এক সুতায় বাঁধা। দায় না নিলেও দায় এড়াতে পারবে এমন কোন সম্ভাবনাই নেই। আর একটি সংগঠন দিনের পর দিন দেশে খুনাখুনির ঘটনা ঘটিয়ে যাবে, আইনের হাত তাদের ক্ষেত্রে বামনের হাত হয়ে থাকবে তাইবা হয় কি করে? সংগঠনে নাকি বহিরাগতরা ঢুকে পড়েছে। তাহলে ধরেও নেয়া যায়, সময় এলে এ বহিরাগতরা বেরিয়েও যাবে। তাদের অপকর্মের দায় জমা পড়ে থাকবে সংগঠনের হিসাবের খাতায়। সরকার যদি সত্যটি বুঝেন তাহলে ক্যাডারদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়াই বাঞ্ছনীয় নয় কি?

একমাস গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার চারদিনের মাথাই ঘটলো ঘটনা। আর এটাই ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের ঘটানো লেটেস্ট ঘটনা। লেটেস্ট বলছি এ অর্থে তারাতো নিত্যদিনই কোন না কোন অঘটনের জন্ম দিচ্ছে। জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটিতে ছাত্রদলসহ বহিরাগতদের স্থান পাওয়া- এসবই রয়েছে এ সংঘর্ষের মূলে। গত বছর জানুয়ারি মাসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বহিরাগত গ্রুপ ও অভ্যন্তরীণ গ্রুপের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় স্থগিত করা হয় কমিটির কার্যক্রম। এক মাসের মাথায় ঘটে আরো বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এরপরও উচ্ছৃক্মখল নেতাকর্মীদের শান্ত রাখা সম্ভব হয়নি। এ বছরই এপ্রিল মাসে আবারো ভেতরে অবস্থানকারী দু’ গ্রুপের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তখন বিলুপ্ত কমিটির চারজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তাতেও কাজ হয়নি। লেগেই থাকে অনবরত সংঘর্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় আবার রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

ছাত্রনামধারী ক্যাডাররা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষকদের বাধা উপেক্ষা করে হলের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে প্রতিপক্ষের ওপর তান্ডব চালায়। বাধা দিতে গিয়ে আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রোক্টর। এমনকি মেডিকেলে গিয়েও আহত প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালিয়েছে ক্যাডাররা। তাদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন ডাক্তার-নার্সরাও। কঠিন কথা এই যে, একই সংগঠনের এক গ্রুপের সদস্যরা অন্য গ্রুপের সদস্যদের রড-লাঠি-হকিস্টিক দিয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করে চারতলার ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয় বেশ ক’জনকে। ফেলে দেয়া সেই দেহগুলোর ওপর আবার নৃশংসভাবে এলোপাতাড়ি মারধর করে। কী নৃশংসতা! কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর এমন অমানুষিক বর্বর আচরণ- এটা কি ভাবা যায়। আর এসব কিছু ঘটছে ছাত্ররাজনীতির নামে। যারা করছে তাদের রয়েছে দেশের বৃহত্তর ও ঐতিহ্যবাহী একটি গণতান্ত্রিক দলের আদর্শিক সম্পৃক্ততা। যে সংগঠনের নেতৃত্বাধীন জোটই বর্তমানে সরকারে। সরকার ও সরকার দল কিছুতেই একটি ছাত্র সংগঠনের বেপরোয়া কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না এটা বিস্ময়কর। এ ঘটনায় ১৮ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ১৩ জনকে। এরকম বহিষ্কার এর আগেও কয়েকজনকে করা হয়েছে। কিন্তু সংঘাত-সংঘর্ষ থামেনি।

বহিষ্কৃতরা আবারো ক্যাম্পাসে এসে তান্ডব চালাতে পারছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতাও এখানে চোখে পড়ার মতো। সরকার দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছাত্র সংগঠন হিসেবে শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষায় ছাত্রলীগের ভূমিকা যেখানে প্রত্যাশিত ছিল সেখানে তারা নিজেরাই মারামারি করে শিক্ষাঙ্গনকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। দেশের স্বার্থে সরকারের ভাবমূর্তির স্বার্থেও ছাত্রলীগের এই উচ্ছৃক্মখলতার ব্যাপারে সরকারকে নির্মোহ ও কঠোর অবস্থান নিতে হবে। আর কমিটি বিলুপ্ত করে, সম্পর্কচ্ছেদ করে ক্ষমতাসীন দলও তাদের দায় এড়াতে পারবে না।

রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া এ সংকটের সমাধান হবে না। ছাত্রনামধারী সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী ও সুযোগসন্ধানীদের কোন প্রকার দলীয় বা রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া চলবে না। আর সর্বোপরি ছাত্ররাজনীতিকে রাজনৈতিক প্রতিপত্তি ও লাভালাভের রাহুগ্রাস থেকে মুক্ত করতে হবে। ছাত্রলীগের অপতৎপরতা নিয়ন্ত্রণ করে তাদের সুস্থ সাংগঠনিক চর্চায় ফিরিয়ে আনার মাধ্যমেই সরকার ও একই সঙ্গে সরকারি দল সন্ত্রাসমুক্ত সুস্থ ছাত্ররাজনীতির ব্যাপারে তাদের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার প্রমাণ রাখতে পারে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ফলে নিরীহ মানুষের ঘরে কান্নার রোল ওঠার দৃশ্য আমরা দেখেছি। এখন আর নিরীহ নয়; খোদ আওয়ামী লীগ সমর্থক পরিবারেও কান্নার রোল উঠতে শুরু করেছে। এই কান্নার রোল থামাতে আওয়ামী লীগ কী সান্ত্বনা দেবেন? জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায়, দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঘটনায় কান্নার রোল ওঠা আওয়ামী পরিবারের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। বেপরোয়া ছাত্রলীগের কারণে কমছে সরকার দলের জনসমর্থনও। ছাত্রলীগ দানবদের না সামলালে শেষ পর্যন্ত এরা আওয়ামী কর্মী-সমর্থক নয়, ডাকসাইটের নেতাদেরও ঘাড় মটকে দেবে বলেই মনে হয়। আর তা হবার আগেই অপ্রতিরোধ্য ছাত্রলীগকে সামাল দেয়া প্রয়োজন। আর যদি তাদেরকে এই অ্যাসাইনমেন্টই দেয়া হয়ে থাকে, তাহলে কারুরই আর কিছু করার নেই।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com