সিলেট ও খাগড়াছড়িতে গণধর্ষণ, মানবাধিকার কমিশনের শাস্তির দাবি
সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাস এলাকায় এক গৃহবধুকে স্বামীর সামনে গণধর্ষণের ঘটনায় শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম। শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবির কথা জানান। নাসিমা বেগম বলেন, ধর্ষক যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহানা সাঈদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার ওই তরুণী তার স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে ঘুরতে আসলে ৬-৭ জন যুবক তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাস এলাকায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ চালায়। এসময় তার স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করে আটকে রাখা হয়। আসামিদের কেউ এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।
এদিকে, খাগড়াছড়িতে বুধবার রাতে ৯ জন ডাকাত ঘরে ঢুকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করে। পরে ঘরের জিনিস লুট করে পালিয়ে যায় তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উল্লেখিত ঘটনায় কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম মনে করেন, একের পর এক নারীর প্রতি নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা অত্যন্ত জঘন্য ও ঘৃণ্যতম ঘটনা- যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নারীর মানবাধিকার সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে ধর্ষণের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করা আবশ্যক।
সিলেটের ঘটনায় আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান নাছিমা। একইসঙ্গে খাগড়াছড়ির ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।