সাংগঠনিক কার্যক্রম বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলের অংশ: গয়েশ্বর

0

টানা পাঁচ মাস বন্ধের পর বিএনপির  সাংগঠনিক কার্য্ক্রম শুরু হওয়াকে জাতীয় কাউন্সিলের অংশ হিসেবে দেখছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ সোমবার শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, সাংগঠনিক কার্য্ক্রম কাউন্সিলের একটা অংশ। অর্থাৎ আমাদের দেশব্যাপী প্রতিটা জেলা, উপজেলা বা থানার যতটা ইউনিট আছে সেগুলো কাউন্সিলে পূর্বেই সম্পন্ন করতে হয়। সেই কাজটা আমাদের শুরু হয়েছে। আমি বলব, বিশ্ব পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের পরিস্থিতি আমাদের কখন কাউন্সিল করার সুযোগ সৃষ্টি হবে সেজন্য আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে। একটা সময় কাউন্সিল হবে।

গয়েশ্বর বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের সর্ববৃহত রাজনৈতিক দল। এর একটা কাউন্সিল ভার্চুয়াল বা অনলাইনে হয় না। কাউন্সিল মানে হলো ব্যাপক।প্রায় চার হাজারের মতো কাউন্সিলর আছে। তারপরে ডেলিগেইট্। আপনারা জানেন যে, আমাদের কাউন্সিলে লক্ষ লক্ষ লোক সমবেত হয়। সব কিছু আপনাদের বিবেচনায় রাখতে হবে।
২০১৬ সালের ১৯শে মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল হয় রমনার ইঞ্চিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন প্রাঙ্গনে। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পর পর জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

গত রোববার থেকে বিএনপি তার সাংগঠনিক কার্য্ক্রম শুরু করে। করোনা মহামারী প্রাদুর্ভাবের কারণে ২৫শে মার্চ থেকে দলের সাংগঠনিক কার্য্ক্রমসহ কমিটি গঠন ও পুনর্গঠনের কার্য্ক্রম বন্ধ রাখে দলটি।

করোনা ভাইরাস সংক্রামনের বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপির স্থাযী কমিটির সদস্য বলেন, কোবিড-১৯ এর কারণে স্বাস্থ্য বিধি মানা এবং মানুষের জীবনে যে ঝুঁকি সব কিছু মোকাবিলার ক্ষেত্রে আমাদেরকে কতগুলো নিয়ম মেনে চলতে হয় প্রত্যেকে প্রত্যেকের স্বার্থে।  আমি নিয়ম মানছি শুধু আমার স্বার্থে না, আরেকজনেরও স্বার্থে।এখন যে স্বাস্থ্য বিধি আছে সেখানে আমাদের সাংগঠনিক কার্য্ক্রম জোরেশোরে করার সুযোগ কম। তারপরেও কাজ শুরু করেছি। কাউন্সিল দলের সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার একটা অংশ, এটা গঠনতন্ত্রেও নিয়ম আছে। গঠনতন্ত্র তো দলের জন্য, জীবনের জন্যই। সেকারণে আমাদের কাউন্সিলটা যে সময় হওয়ার কথা সে সময়ে হয় নাই। ভবিষ্যতে হবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com