ড. বিজন বাংলাদেশে ফিরে আসবেন বলে আশা গণস্বাস্থ্যের
ওয়ার্ক ভিসা না পাওয়ায় সিঙ্গাপুর ফিরে যাওয়া আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অণুজীববিজ্ঞানী এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন কিট আবিষ্কারক দলের প্রধান ড. বিজন কুমার শীল খুব শিগগিরই বাংলাদেশে ফিরে আসবেন বলে আশা করছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।
তিনি জানান, রোববার সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান ড. বিজন কুমার শীল। ভিসা -সংক্রান্ত কিছু জটিলতার কারণে তিনি সিঙ্গাপুর ফিরে গেছেন। তবে গণস্বাস্থ্যের করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন কিটের উন্নয়ন এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিভিন্ন গবেষণায় ড. বিজন কুমার শীলকে প্রয়োজন।
তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তার ভিসা প্রাপ্তিতে যে সমস্ত কাগজপত্র প্রয়োজন সব বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে। আশা করছি, শিগগিরই তিনি আবার দেশে ফিরে আসবেন। কারণ তিনিও সবসময় দেশে এসে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেন।
ড. বিজন কুমার শীল ১৯৯৯ সালে ছাগলের মড়ক ঠেকানোর জন্য পিপিআর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেন।
২০০২ সালে ডেঙ্গুর কুইক টেস্ট পদ্ধতির আবিষ্কারকও ড. বিজন। যা সিঙ্গাপুরে তার নামেই প্যাটেন্ট করানো। ২০০৩ সালে তিনি সার্স ভাইরাসের কুইক টেস্ট পদ্ধতির আবিষ্কার করেছিলেন। এটাও তার নামে প্যাটেন্ট করা।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সার্স ভাইরাস প্রতিরোধে সিঙ্গাপুর সরকারের একজন বিজ্ঞানী হিসেবে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।