ছিনতাই মামলায় আ.লীগ নেতা কারাগারে

0

ছিনতাই মামলায় বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন মোল্লাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে বরিশাল অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মারুফ আহম্মেদ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে ওই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন লিটন মোল্লা।

গত ২৩ জুলাই বিমানবন্দর থানায় লিটন মোল্লা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে চাঁদার দাবিতে মারধর করে প্রায় আড়াই লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে মামলা করেন গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বরিশালের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের কাউন্টার ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম। এরপর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন লিটন মোল্লা। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

লিটন মোল্লা সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ছয়মাইল এলাকার মৃত জল কাদের মোল্লার ছেলে।

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিমানবন্দর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই বৈচি বিশ্বাস এজহারের বরাত দিয়ে জানান, বরিশাল-ঢাকাসহ উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের দূরপাল্লার বিভিন্ন রুটে চলাচল করা গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বরিশালের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের কাউন্টার ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলামের কাছে চাদা দাবি করে আসছিলেন লিটন মোল্লা। গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বাস বরিশালে চালাতে হলে প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা মাসোহারা দাবি করেন লিটন মোল্লা ও তার সহযোগীরা। এরপর থেকে লিটন মোল্লার ক্যাডার বাহিনী গোল্ডেন লাইন কাউন্টারে এসে তাকে হয়রানি শুরু করেন। বাসে যাত্রী তুলতে গেলে তারা বাধা দিতেন। ভয়ভীতি দেখিয়ে এভাবে কয়েক মাস দাবিকৃত চাঁদার টাকাও নিয়েছে লিটন মোল্লার সহযোগীরা।

করোনার সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে তেমন যাত্রী না থাকায় পরিবহনের আয় কমে যায়। এ কারণে মে ও জুন দুই মাস চাঁদার টাকা দিতে পারেননি কাউন্টার ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম। এর জের ধরে গত ২২ জুলাই রাত ১২টার দিকে কাউন্টার ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলামের ওপর লিটন মোল্লা ও তার সহযোগীরা হামলা চালান। এ সময় শহিদুল ইসলামকে মারধর করে তার সঙ্গে ব্যাগে থাকা গোল্ডেন লাইন পরিবহন কোম্পানির দুই লাখ ৪৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। এরপর তারা সেখান থেকে সটকে পড়েন। পরে টার্মিনালে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

বৈচি বিশ্বাস আরও জানান, এ ঘটনায় পরদিন ২৩ জুলাই বিমানবন্দর থানায় লিটন মোল্লা ও তার সহযোগী রনি মৃধা, মো. রুবেল, মো. তারেক, মো. নাসির, মো. সোহাগ, মো. মাসুম, মো. সুজন, মো. জলিল, মো. মাসুদ ও মো. ইউনুসসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন শহিদুল ইসলাম। মামলার পর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল লিটন মোল্লাকে। তবে তিনি আদালতে হাজির না হয়ে পলাতক ছিলেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com