এই সত্য বললেই অনেকের মুখ কালো হয়ে যায়
আওয়ামী লীগে দুর্নীতিবাজদের পতন অনিবার্য/ কিন্তু এই সত্য বললেই অনেকের মুখ কালো হয়ে যায়!
আওয়ামী লীগ এই উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী এক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। মওলানা ভাসানী ও টাঙ্গাইলের শামসুল হক এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাধারণ সম্পাদক হলেও প্রথমজন কাগমারী সম্মেলনে ন্যাপ করে বেরিয়ে যান সমাজতন্ত্রের পথে। পরেরজনের জীবনের করুন বিয়োগান্তক ঘটনায় জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ভক্ত অসীম সাহসী অন্যতম প্রতিষ্টাতা নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত বিকাশ ঘটে নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে তার ক্যারিশমাটিক যাদুকরি নেতৃত্বে। তার ৬দফা, স্বাধীকার, স্বাধীনতা সংগ্রামে শক্তিশালী ভূমিকা রাখে ছাত্রলীগ।৬৯ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালি জাতির অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হবার ঐতিহাসিক সফল বাক। বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের গণজাগরণ ঘটে এ সময়। এ পথে ৭০ সালের নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয় ছিলো বাঙ্গালির একক নেতা হিসেবে শেখ মুজিবের প্রতি গণরায়। তারপর স্বাধীনতার প্রথম স্বপ্নদ্রষ্টা ও তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে তার ডাকে ও নেতৃত্বে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বিজয়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়।
৭৫ সালে পরিবার পরিজনসহ বঙ্গবন্ধুকে ঘাতক বিশ্বাসঘাতকরা হত্যা করে আওয়ামী লীগের নেতাদের হত্যা, জেল জুলুম নির্যাতনে শেষ করে দেবার চেষ্টা করা হয়। সামরিক শাসকদের দলে অতিবাম অতিডানের মহামিলন ঘটে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী পাকিস্তানি সাম্প্রদায়িক ধারায়।৮১ সালে দলের নেতৃত্বে এসে শেখ হাসিনা দীর্ঘ ৩৯ বছরের নেতৃত্ব আন্দোলন, জীবন মৃত্যুর মুখে গণজাগরণে দলকে আরেকদফা বিকাশ ঘটান।
দুর্নীতি বিরোধী অভিযান ও শুদ্ধি অভিযান ঘর থেকে শুরু করেছেন। জনসমর্থন বাড়ছে। দলের কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের যারা দলের পদপদবি, রাজনৈতিক নিয়োগের অপব্যবহার করে বৈধ ব্যবসা ছাড়া দুর্নীতি করেছেন, অনেক অর্থ সম্পদ ও ভোগবিলাসে ১০ বছরে ডুবেছেন, দাম্ভিক আচরণে মানুষ ক্ষেপিয়েছেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। পদপদবি থেকে সরানো হচ্ছে।
কেবল দলের নষ্টরা নয়, অনুপ্রবেশকারী ও প্রশাসনের একদল বেপরোয়া দুর্নীতিবাজের পাকড়াও জরুরি। ব্যাংক ডাকাত, শেয়ারবাজার লুটেরা জুয়াড়ি, বিদেশে অবৈধ অর্থপাচারকারিদের ধরতেই হবে, নয় পূর্ণতা আসবে না। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন থাকবে না।
দলকে প্রভাবশালী প্রেসিডিয়ামসহ শক্তিশালী নেতৃত্বে ওয়ার্কিং কমিটি সাজাতে হবে। সকল বিতর্কিতদের সরাতে হবে। আওয়ামী লীগ আদর্শিক ধারায় এলে সবাইকেই আসতে হবে।আওয়ামী লীগই এদেশের গণমুখী আদর্শিক রাজনীতির পথ প্রদর্শক, সেই পথ আবার আওয়ামী লীগকেই দেখাতে হবে।
ক্লিন ইমেজের দলের দুঃসময়ে ৭৫পরবর্তী সময় থেকে যারা ছাত্রলীগে সারাদেশে নেতৃত্ব দিয়েছে কেন্দ্র থকে তৃণমূল, তাদের তালিকা করে দলে তুলে আনতে হবে। আওয়ামী লীগ আদর্শিক গণমুখী রাজনীতিতে ফিরলে দেশের রাজনীতিও ফিরবে। দুর্নীতি বিরোধী অভিযান সব ক্ষেত্রে সফল হলে মুজিব কন্যা ও দলের ইমেজ আকাশচুম্বি হবে। দুর্নীতি সহনীয় পর্যায়ে এলে দেশের অর্থনীতি আরও বিস্ময়কর জায়গায় যাবে। জনগণ দাম্ভিক দুর্নীতবাজদের পতন চায়, সেটা এখন অনিবার্য।
আসুন এ সুন্দর পবিত্র ভোরের স্নিগ্ধতায় দুর্নীতিবাজদের বয়কট, প্রতিরোধ, ঘৃণা ও ধরিয়ে দিতে সাহায্য করি। ডাকাতকে ডাকাত বলি, সমস্বরে বলি। দুর্নীতির অর্থের দম্ভ ধুলোয় মিশিয়ে মানুষের কাতারে আনি।