আবার বাণিজ্য আলোচনায় বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-চীন

0

পারস্পরিক বাণিজ্য স্বার্থ নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে আবার আলোচনা বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। আর এই বৈঠকে নানা ইস্যুতে শত্রুতে পরিণত হওয়া দেশ দুটির মধ্যে ‘স্থগিত হয়ে’ থাকা বহুল প্রতীক্ষিত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে বলে চীন সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

পারস্পরিক বাণিজ্য নিয়ে গত জানুয়ারিতে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, আগামী দুই বছর ২০০ বিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত পণ্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করার কথা চীনের।

এই চুক্তির ফলে দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ থামার পূর্বাভাস পাওয়া গেলেও বাস্তবে তা দেখা যায়নি। বরং করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে বৈরিতা আরও বেড়েছে।

চীন ও যুক্তরাষ্ট্র মধ্যকার বাণিজ্য চুক্তি অনুযায়ী, ‘প্রথম ধাপে’ চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে প্রতি ছয় মাসে উভয় দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকে বসার কথাও উল্লেখ ছিল। কিন্তু কোনো দেশের সরকারই এ ব্যাপারে নতুন কোনো আলোচনার কথা বলেনি বা চুক্তিটি স্থগিতের কথাও জানায়নি।

এর মধ্যে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় যে, আবারও বাণিজ্য ইস্যুতে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে বৈরী দেশ দুটি। বৃহস্পতিবার এই গুঞ্জনের সত্যতা নিশ্চিত করলেন চীনের বাণিজ্য মন্ত্রী গাও ফেং- “অদূর ভবিষ্যতে উভয় পক্ষ বৈঠকে বসার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।”

তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি ফেং।

গত সপ্তাহের দিকে ব্লুমবার্গসহ বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইটিজার এবং ট্রেজারি মন্ত্রী স্টিভেন এমনুশিন বিষয়টি নিয়ে চীনের উপ প্রধানমন্ত্রী লিউ হি’র সঙ্গে আলাপ করেছেন।

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। এই মহামারির পেছনে বেইজিংয়ের হাত রয়েছে বলে বারবার অভিযোগ করে আসছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নানা টানাপোড়েনে চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানিও দৃশ্যত কমিয়ে দিয়েছে চীন। ফলে দেশ দুটির মধ্যে সম্পাদিত বাণিজ্য চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন মার্কিনিরা।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com