শিশুদের ধর্ষণের অভিযোগে দুই শিক্ষক ও বাবুর্চি গ্রেপ্তার
হেফজখানার বাবুর্চি প্রতিদিনই জোর করে ধর্ষণ করত শিশুদের। বাধা দিলে জুটত মারধর। অভিযোগ জানানোর পর ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো কাউকে না জানাতে কয়েক দফা মুখ চেপে মারধর করেন দুই শিক্ষকও। একপর্যায়ে নির্যাতন সইতে না পেরে কুমিল্লার লাকসামের বাড়িতে পালিয়ে যায় এক শিশু। পরে পরিবারের কাছে খুলে বলে পুরো ঘটনা। এর মধ্যে জানা যায়, আরও এক শিশুকে একইভাবে নির্যাতন করা হচ্ছিল।
শিশুদের মুখে নির্যাতনের ঘটনা শোনার পর অভিভাবকেরা চট্টগ্রামের মুরাদপুরের ওই হেফজখানার পরিচালকের কাছে অভিযোগ করেন। কিন্তু তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। এরপর পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিভাবকেরা। অভিযোগ পেয়ে মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক অভিভাবক।
নির্যাতনের শিকার এক শিশুর বাবা বলেন, বাড়িতে পালিয়ে আসার কারণ জানতে চাইলে ছেলে জানায় তাকে নির্যাতন করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, হেফজখানায় শিশুদের ওপর এ নির্যাতন চলছিল। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শুক্রবার তাঁদের আদালতে তোলা হবে। পাশাপাশি দুই ভুক্তভোগী শিশুর জবানবন্দি আইন অনুযায়ী আদালতে রেকর্ড করার ব্যবস্থা গ্রহণ নেওয়া হবে।