বাবার মতো দেশসেবা করতে চাই: শিলা
মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ-২০১৯’-এর বিজয়ী হয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের মেয়ে শিরিন আক্তার শিলা। গত বুধবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশনের নবরাত্রি মিলনায়তনে জমকালো আনুষ্ঠানিকতায় তাঁর মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন সাবেক মিস ইউনিভার্স ও বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। বিজয়ের অনুভূতি, অভিজ্ঞতা ও পরিভ্রমণ নিয়ে কথা বললেন মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ।
ফেস অব বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর হলেন মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ। কেমন লাগছে?
আমার জন্য এ বিজয় খুবই আলাদা। কারণ, বাংলাদেশে মিস ইউনিভার্স এবারই প্রথম অনুষ্ঠিত হলো। সেই প্রতিযোগিতায় আমি প্রথম হয়েছি। এই বিজয় মুকুট আমার মাথায় পরিয়ে দিয়েছেন সাবেক মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা সেন। তবে এর আগে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৮-তে অংশ নিয়েছিলাম। সেরা দশে আসতে পারিনি।
সুস্মিতা সেন কী বললেন? তাঁর সঙ্গ কেমন লাগল?
খুবই রোমাঞ্চিত হয়েছি। তিনি আমাদের সবাইকে জড়িয়ে ধরে আদর করেছেন। খুব সুন্দর বাংলায় বলছিলেন, ‘সোনা, তোমরা ভয় পেয়ো না। দেশের প্রতিনিধি হওয়ার মতো অনেক কিছু আছে তোমাদের।’ আমাকে বললেন, ‘তোমার মাতৃভাষা বাংলা, বাংলাতেই কথা বলবে। বাংলাতেই তুমি তোমার ইমোশন সবচেয়ে ভালোভাবে প্রকাশ করতে পারবে।’
বিজয়ী হিসেবে আপনার এখনকার কাজ কী হবে?
প্রতিযোগিতা চলাকালীন আমরা সেরা দশজন গিয়েছিলাম কয়েকজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছেলেমেয়ের কাছে। তাদের কাছে আবারও যাব, তাদের জন্য কিছু করব। আগামী ১৯ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে মিস ইউনিভার্সের মূল আসর। সেখানে অনেক দেশের বিজয়ীরা অংশ নেবেন। ওই মঞ্চের জন্য আমাকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
এ ধরনের প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা দাতব্যসেবায় অংশ নেন। এ রকম কাজের আগ্রহ আছে?
আমার বাবা একজন সৈনিক। তিনি দেশ পাহারা দেন। আমিও বাবার মতো দেশের সেবা করতে চাই।
সুন্দরী প্রতিযোগিতায় পরিবারের সহযোগিতা পেয়েছিলেন?
না। আমার মা–বাবা এ ধরনের কাজের ব্যাপারে উদার নন। এই প্রতিযোগিতায় আসতে আমাকে একাই যুদ্ধ করতে হয়েছে। মডেল আজরা আপুর সঙ্গে আমার আগে থেকে পরিচয় ছিল। তিনি আমাকে উত্সাহিত করেছিলেন। তবে বিজয়ী হওয়ার পর আমাকে টেলিভিশনে দেখে বাবা আমাকে নিয়ে গর্ব করেছেন।
সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা সিনেমা, নাটক বা বিজ্ঞাপনে কাজ করেন। আপনি করবেন?
ছোটবেলা থেকে মা–বাবার উপদেশ ছিল, লেখাপড়া করে বড় হও। সেই কাজটি করে এসেছি। এখন দেশের জন্য কাজ করব। যদি কখনো নাচ ও অভিনয় শিখতে পারি, তাহলে পাশাপাশি সেগুলো করব।
লেখাপড়ার কী হবে?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে পড়ছি। কদিন বাদেই তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা। বিভাগের কাছে আবেদন করতে হবে। স্যারদের সহযোগিতা ছাড়া আমার চলবে না।