‘সেই ভাইরাল ভিডিও’ শাস্তির মুখোমুখি জামালপুরের সাবেক ডিসি
অবশেষে শাস্তির মুখোমুখি হতেই হচ্ছে জামালপুরের সাবেক ডিসি আহমেদ কবীরকে। যিনি ইতিমধ্যে সবার কাছে বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ব্যক্তি। ইউটিউব ও ফেসবুকে যার নারী কেলেঙ্কারির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
এ জন্য ঐহিত্যবাহী প্রশাসন পড়তে হয় চরম ভাবমূর্তি সংকটে। তবে তদন্ত কমিটি কোনো ছাড় দেয়নি। ঘটনার চুলচেরা বিশ্লেষণ করে পরতে পরতে ভাইরাল হওয়া ভিডিওর সত্যতা খুঁজে পেয়েছে। ২৬ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে রয়েছে যার বিশদ বর্ণনা।
এতে সোজাসাপ্টা বলা হয়েছে- জামালপুরের সাবেক ডিসি আহমেদ কবীরের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিওটি সত্য। জাল বা ফেব্রিকেট নয়। এ ঘটনায় তার নারী সহকর্মী সানজিদা ইয়াসমিন সাধনাও অভিযুক্ত। তারা পরস্পরের ইচ্ছায় এ অনৈতিক কাজে মিলিত হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিধিবিধান অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ আগস্ট রাতে চাঞ্চল্যকর ভিডিওটি প্রথমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরদিন সকাল থেকে ফেসবুক ও ইউটিউবে ভাইরাল হয়। দেশে ও বিদেশে লাখ লাখ নয়, কোটি কোটি মানুষ এটি প্রত্যক্ষ করেছে। নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সবাই।
২৫ আগস্ট ডিসি আহমেদ কবীরকে প্রত্যাহার করে ওএসডি করা হয়। এরপর গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। এই গুণধর ডিসিকেই শ্রেষ্ঠ ডিসির পুরস্কারও দেয়া হয়।
এদিকে তদন্ত কমিটি অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে যারা আপত্তিকর ভিডিও ধারণ, জেলা প্রশাসকের কাছে চাঁদা দাবি এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেছে তাদের চিহ্নিত করার ব্যবস্থা নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ৯ অক্টোবর পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠিতে স্বাক্ষর করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-১(১) অধিশাখার উপসচিব মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন শৃঙ্খলা অধিশাখা থেকে তদন্ত প্রতিবেদনটি ১৯ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে কঠোর গোপনীয় অনুসরণ করে পাঠানো হয়।
এতে মূল তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে সংযুক্তি হিসেবে রয়েছে ভিডিও ভাইরালের সিডি, ডিসির রেস্টরুমের স্কেচ ম্যাপ, ঘটনাস্থলের স্থির ও ভিডিও সংবলিত সিডি, ১৬ জন সাক্ষীর ৬১ পৃষ্ঠার বক্তব্য এবং ৬ পৃষ্ঠার বিশেষজ্ঞ প্রতিবেদন। সূত্র জানায়, বিভাগীয় মামলায় শেষ পর্যন্ত অভিযুক্ত দু’জনকে চাকরি হারাতে হবে।
তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণ : অনৈতিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার অনেক আগেই (২০.০৩.১৯ তারিখে) অভিযুক্ত সাবেক ডিসি আহমেদ কবীর জানতে পারেন।
বিষয়টি ফাঁস করে দেয়া হবে বলে তাকে হুমকি দিয়ে অর্থও দাবি করা হচ্ছিল। অথচ বিষয়টি তিনি ডিসি কালেক্টরেটের কাউকে অবহিত করেননি। এমনকি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাননি।
তিনি তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছেন, বিষয়টি শুধু জামালপুরের এসপিকে জানিয়েছিলেন। ডিসি আহমেদ কবীর ব্যক্তিগত আগ্রহে এই নারীকে গোপনীয় শাখায় পদায়ন করেছেন এবং তার সান্নিধ্যে আসার সুযোগ করে দিয়েছেন। গোপনে অনৈতিক ভিডিও ধারণে কথিত নারী সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা জড়িত ছিলেন। বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা লাভের পরও তিনি (ডিসি) ওই নারীর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক কোনো ব্যবস্থা নেননি।
পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়েছে, ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে সানজিদা ইয়াসমিন সাধনার প্রথম পরিচয় হয় ডিসি কার্যালয়ে অফিস সহায়ক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে উন্নয়ন মেলায়।
পরবর্তী সময়ে অফিস সহায়ক পদে সাধনার নিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে ডিসি প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। আপত্তিকর ভিডিও ধারণের বিষয়টি জানার পরও সাবেক ডিসি আহমেদ কবীর তা আড়াল করার চেষ্টা করেন। তিনি দুর্নামের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি না জানিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের মাধ্যমে বিষয়টি ম্যানেজ করতে চেয়েছেন।
মোবাইল ফোনে হুমকি পাওয়া, অনৈতিক ভিডিও ফাঁস করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ দাবি এবং অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছ থেকে ডিসি পেনড্রাইভে অনৈতিক ভিডিও পাওয়ার পরও এ ঘটনার পেছনে সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পরিবর্তে সাধনার সঙ্গে আপস-মীমাংসার চেষ্টা করেছেন।
অবশেষে সে চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার মাধ্যমে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি এ ঘটনা ডিসির ব্যক্তিগত এবং পুরো জেলা প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে।
তদন্ত কমিটি মনে করে, ডিসির অনৈতিক এ বিষয়টি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকরাসহ অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগে থেকে অনুমান করতে না পারা কোনোভাবে বিশ্বাসযোগ্য নয়। এ ছাড়া তদন্তকালে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ডিসির গোপনীয় শাখার কর্মচারীসহ অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যে অনীহা পরিলক্ষিত হয়েছে।
তদন্ত কমিটির কাছে যাতে মূল ঘটনা প্রমাণিত না হয় সে জন্য ডিসির অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও ধারণের কক্ষটিতে পরবর্তী সময়ে কিছু পরিবর্তন আনা হয়। যেমন: ডিসির খাস কামরার মিনি কনফারেন্স রুমের এক পাশে থাই গ্লাসের পার্টিশন দিয়ে একটি খাট বসানো ছিল, যা ভিডিওতে দৃশ্যমান। কিন্তু তদন্তকালে ওই থাই গ্লাসের পার্টিশন দেখা যায়নি।
তদন্ত প্রতিবেদনের এক স্থানে বলা হয়- ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার আগে ডিসির কাছে গ্রামীণফোনের একটি নম্বর থেকে কল আসে।
অপর প্রান্তের পুরুষ ব্যক্তিটি ডিসিকে জানান, তার অফিসের টেবিলের কলমদানির মধ্যে একটি পেনড্রাইভ রয়েছে। যেখানে তার (ডিসি আহমেদ কবীর) ও অফিস সহায়ক সাধনার অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিও রয়েছে। পরবর্তী সময়ে ডিসি অফিসের টেবিলের কলমদানির ভেতরে একটি পেনড্রাইভ পান এবং সেটি ওপেন করে তাদের অনৈতিক সম্পর্কের গোপন ভিডিও থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন।
এরপর আবারও ডিসিকে ওই নম্বর থেকে ফোন করে ভিডিওটি ভাইরাল করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। তদন্ত কমিটিকে এমন তথ্যই জানিয়েছেন ডিসি।
এদিকে তদন্ত কমিটির কাছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাজীব কুমার সরকার বলেন, খাস কামরায় ক্যামেরা লাগানোর বিষয়ে সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা জড়িত বলে তার ধারণা। তাছাড়া তদন্তকালীন জিজ্ঞাসাবাদে সাধনা বলেছেন, তিনি পরিস্থিতির শিকার।
তদন্তকালে কমিটির সদস্যদের পর্যবেক্ষণে ডিসির কক্ষটি সুসজ্জিত ও সুরক্ষিত বলে মনে হয়েছে। সেখানে প্রবেশের জন্য তিন দিক থেকে দরজা রয়েছে। এর মধ্যে ডিসির গোপনীয় সহকারীর রুমের সঙ্গে একটি দরজা, একটি সদর দরজা, যা দিয়ে ডিসির সঙ্গে সরাসরি দেখা করা যায়। অপর দরজাটি ডিসির খাস কামরায় যাওয়ার দরজা।
ডিসি যখন বাইরে থাকতেন তখন গোপনীয় সহকারীর দরজা ছাড়া অন্য দরজা খোলা থাকত না। সুতরাং এই দরজা দিয়েই কেউ ঢুকে ডিসির টেবিলের কলমদানিতে পেনড্রাইভ রেখেছে।
এতে ডিসির গোপনীয় শাখার সংশ্লিষ্টতা বা ডিসি ও অন্যান্য সাক্ষীর সন্দেহকৃত অফিস সহায়ক সানজিদা ইয়াসমিন সাধনার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি তদন্ত কমিটির কাছে যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয়।
জিজ্ঞাসাবাদকালে অভিযুক্ত সাবেক ডিসি আহমেদ কবীর তদন্ত কমিটির কাছে বলেন, মোবাইলে হুমকি প্রদানকারী ব্যক্তিটি পুরুষ ছিল। যদি আহমেদ কবীরের বক্তব্য যথাযথ ধরে নেয়া হয় তাহলে ওই পুরুষ ব্যক্তিটি জেলা প্রশাসনের কোনো ব্যক্তি বা বাইরের কোনো ব্যক্তি, যার সঙ্গে সানজিদার সম্পর্ক রয়েছে।
তবে কে বা কারা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের গোপন ভিডিও করেছে সে বিষয়ে তদন্ত কমিটি নিশ্চিত হতে পারেনি। এ জন্য অধিকতর তদন্ত প্রয়োজন বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিসির অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও দুটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক ও ইউটিউব) ভাইরাল হওয়ায় শতাব্দীপ্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জেলা প্রশাসনের ভাবমূর্তি জনগণের কাছে ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এ ছাড়া গোপনে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের পেছনে জড়িতদের খারাপ উদ্দেশ্য কাজ করেছে।
তদন্ত কমিটির সার্বিক মতামত : ঘটনাস্থল পরিদর্শন, সাক্ষীদের সাক্ষ্য পর্যালোচনা, সাইবার ফরেনসিক প্রতিবেদন ও বিশেষজ্ঞদের মতামত পর্যালোচনান্তে তদন্ত কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালকৃত জামালপুর জেলার সাবেক ডিসি আহমেদ কবীরের আপত্তিকর ভিডিও ফুটেজ দুটি সঠিক।
অর্থাৎ জালকৃতভাবে (ফেব্রিকেট/কাটপেস্ট) তৈরি করা হয়নি। ভাইরাল হওয়া আপত্তিকর ভিডিও দুটিতে দৃশ্যমান পুরুষ ব্যক্তিটি জামালপুর জেলার সাবেক ডিসি আহমেদ কবীর এবং মহিলাটি তার কার্যালয়ের গোপনীয় শাখার অফিস সহায়ক সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা। ভিডিওটি ধারণের স্থান ডিসির বিশ্রাম কক্ষ।
সার্বিক বিষয় পর্যালোচনায় তদন্ত কমিটির কাছে মনে হয়েছে, ডিসি আহমেদ কবীর ও অফিস সহায়ক সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সরকারি চাকরি শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করেছেন, যা অসদাচরণ মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। এ ছাড়া ভিডিওটি ধারণ ও প্রচারের ব্যাপারে সাধনাসহ ডিসি কার্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ও বাইরের লোকের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে।
কমিটির সুপারিশ : তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনের শেষদিকে ২৫ ও ২৬নং পৃষ্ঠায় ৫টি সুপারিশ করেছে।
এতে বলা হয়, ১) এ ঘটনায় সরকারি কর্মচারী তথা বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তাই অভিযুক্ত সাবেক ডিসি আহমেদ কবীর ও অফিস সহায়ক সানজিদা ইয়াসমিন সাধনার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
২) জেলা প্রশাসন সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। অনৈতিক বিষয়টির ভিডিও ধারণ ও প্রচারের ফলে ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়েছে। তাই এ ঘটনার পেছনে যারা ভূমিকা রেখেছে, বিশেষ করে, চাঁদা দাবি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
৩) ডিসি পদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাসম্পন্ন। ভবিষ্যতে ঐতিহ্যবাহী এ পদে কাউকে নিয়োগ দেয়ার পূর্বে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে নৈতিকতার বিষয়টি আরও গভীর, ব্যাপক ও সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
৪) ডিসির সার্বিক কার্যক্রম, জেলা প্রশাসনে কর্মরত কর্মকর্তাদের মধ্যে সার্বিক সমন্বয় এবং জেলা প্রশাসনের ইমেজের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরিবীক্ষণ করা আবশ্যক। এ ক্ষেত্রে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে জেলা প্রশাসনের কাজকর্মসহ জেলায় কর্মরত কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত আচার-আচরণ আরও নিবিড়ভাবে তদারকি করা প্রয়োজন।
সে ক্ষেত্রে ডিসিদের সার্বিক মূল্যায়নসহ জেলার যাবতীয় হালনাগাদ বিষয় সম্পর্কে বিভাগীয় কমিশনাররা প্রতি ৩ মাস অন্তর একটি প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দাখিল করবেন। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে পারে।
৫) ডিসিসহ মাঠপর্যায়ের সব কর্মকর্তা যাতে প্রাধিকার অনুযায়ী অফিস কক্ষ সজ্জাকরণ, আসবাবপত্র সংগ্রহ ও ব্যবহার করতে পারেন সে বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ ও ২৩ আগস্ট থেকে এ সংক্রান্ত ভিডিওটি ফেসবুক ও ইউটিউবে ভাইরাল হওয়ার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির প্রধান ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান।
সদস্যরা হলেন : জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিপি অধিশাখার যুগ্ম সচিব মো. মফিদুর রহমান, ময়মনসিংহ বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নিরঞ্জন দেবনাথ, বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি তৌসিফ শাহরিয়ার এবং সদস্য সচিব ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন ও শৃঙ্খলা অধিশাখার উপসচিব মো. ছাইফুল ইসলাম। কমিটি গত ১৯ সেপ্টেম্বর তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করে।