নাগাল্যান্ডে হত্যাকাণ্ড: ভারতীয় বাহিনীর উপর পাল্টা আঘাত হানতে বিদ্রোহী গ্রুপের নির্দেশ
ভারত-মিয়ানমার সীমান্তের কাছে নাগাল্যান্ডের তুয়েনসাংয়ে গত ২৮ আগস্ট নিরাপত্তা বাহিনী ও এনএসসিএন(কে) ক্যাডারদের মধ্যকার সংঘর্ষে অন্তত আট এনএসসিএন(কে) ক্যাডার নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে। এই ঘটনা নাগাল্যান্ডে শান্তি প্রতিষ্ঠার নতুন উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। আর নাগা নাগরিক সমাজের গ্রুপগুলো সেনাবাহিনীকে সংযম পালনের আহ্বান জানিয়েছে।
নাগাদের সর্বোচ্চ সংস্থা নাগা হোহো নিরাপত্তা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে পরিবেশের অবনতি যাতে আর না হয়, তা নিশ্চিত করতে বলেছে।
আসাম রাইফেল সূত্রের তথ্যানুযায়ী, অন্তত আটজন নিহত, দুজন আহত ও দুজন মধ্যস্ততাকারী ছুরিকাঘাতের শিকার হয়েছে। আসাম রাইফেল ও বিশেষ বাহিনীর কমান্ডোদের সাথে সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আসাম রাইফেল বলেছে, বন্দুকযুদ্ধে তারা হতাহত হয়েছে। কিন্তু নাগাল্যান্ড পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, আকস্মিক হামলা চালানো হয়েছিল এনএসসিএন(কে) সদস্যদের ওপর।
নাগা মাদার্স এসোসিয়েশনের একটি সভার প্রাক্কালে এই হামলা হলো। সীমান্ত এলাকায় ওই বৈঠকে নয়া দিল্লীর সাথে আবার যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। নয়া দিল্লীর নিযুক্ত মধ্যস্ততাকারী আর এন রবি বর্তমানে কোহিমায় রয়েছেন। তিনি বিভিন্ন গ্রুপের সাথে আলোচনা করছেন বলে জানা গেছে।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নাগা বুদ্ধিজীবী বলেন, দিল্লী একদিকে আলোচনার কথা বলছে, আবার অন্যদিকে হামলাও চালাচ্ছে। এ ধরনের দ্বৈত নীতি কাজে আসবে না। আমরা শান্তিপ্রক্রিয়ায় রাজি ছিলাম। কিন্তু সরকার সমস্যা সৃষ্টি করছে।
এনএসসিএনের (কে) মুখপাত্র অজ্ঞাত অবস্থান থেকে এই পত্রিকাকে বলেন, এটি ছিল পরিকল্পিত হামলা।
এনএসসিএন(কে) সামরিক উপদেষ্টা নিকি সুমি তার ক্যাডারদের পাল্টা আঘাত হানার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।