শফিউল বারীর চলে যাওয়া দলের জন্য বড় ক্ষতি: ফখরুল
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল বারী বাবুর অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘দেশে করোনার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই নিজের জীবনকে বিপন্ন করে নিরন্ন কর্মহীন মানুষের পাশে বারবার ত্রাণসামগ্রী নিয়ে দাঁড়িয়েছেন সাবেক এই ছাত্রনেতা। অকালে পৃথিবী থেকে তার চলে যাওয়া দলের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি। আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুন।’
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
শোকবার্তায় তিনি আরও বলেন, বিএনপির রাজনীতির এক নির্ভীক সৈনিক ছিলেন মরহুম শফিউল বারী বাবু। দলের সকল ক্রান্তিকালে তিনি দায়িত্ব পালন করতেন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে। স্বৈরশাহীর নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করেও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে মরহুম বাবু থাকতেন সামনের কাতারে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকেই শফিউল বারী বাবু আইনের শাসন, মানবিক মর্যাদা, মৌলিক-মানবাধিকারসহ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে। বাবুর রাজনৈতিক চিন্তা ছিল দেশ ও দশের পক্ষে। তাই ছাত্ররাজনীতি শেষ করার পর স্বেচ্ছাসেবক দলের দায়িত্ব গ্রহণ করে দেশের যেকোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত এলাকায় সহায়তা দানের জন্য অসহায় মানুষের পাশে ছুটে যেতেন। নানা বাধার মুখেও মরহুম বাবু দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে অদম্য সাহসিকতার সাথে কাজ করে গেছেন।’
শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারের আঘাতে তার মতো একজন যোগ্য ও দক্ষ নেতা না ফেরার দেশে চলে যাওয়ায় বিএনপির সকল নেতাকর্মী শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছে। ছাত্রজীবন থেকে শহীদ জিয়ার আদর্শ ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়ে দলের সাংগঠনিক তৎপরতায় নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছিলেন। এজন্য নিবেদিতপ্রাণ এই নেতাকে সইতে হয়েছে সরকারি নানা শারীরিক ও মানসিক জুলুম-নির্যাতন।’
তার এই সংগ্রামী ভূমিকার জন্য তিনি দলের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলেও উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।
শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকার্ত পরিবার, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) ভোর ৪টায় রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বিএনপির তরুণ প্রজন্মের নেতা শফিউল বারী বাবু (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫১ বছর।