প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবতা বিবর্জিত : ২০ দলীয় জোট
২০২০-২০২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে বাস্তবতা বিবর্জিত বলে আখ্যা দিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোট।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় জোটের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে দেয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ মহামারিতে যখন দেশের জনগণের জীবন ও জীবিকা বিপর্যস্ত, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির, রফতানি ও আমদানি প্রায় সম্পূর্ণই বন্ধ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে, যাতায়াত ব্যবস্থা রূদ্ধপ্রায়, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার রুগ্নতা প্রকট এবং এসব মোকাবিলায় সরকারি সামর্থ্যের দীনতা- দক্ষতার অভাব ও দুর্নীতি-অনাচার রোধে ব্যর্থতা প্রকটভাবে দৃশ্যমান, তখন জাতীয় সংসদে পেশকৃত বাজেটে বাস্তবতা বিবর্জিত ও কাল্পনিক প্রবৃদ্ধির হার, রাজস্ব আয় ও মূল্যস্ফীতির হার নির্ধারণ এবং জনস্বাস্থ্য ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা রক্ষায় প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম ব্যয় বরাদ্দের ফলে জনগণের হতাশা ও ক্ষোভ বৃদ্ধি পেয়েছে।‘
বিবৃতিটি দিয়েছেন ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান ড. অলি আহমদ বীর বিক্রম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহাসচিব মিয়া গোলাম পরোয়ার, খেলাফত মজলিসের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সৈয়দ মোহ. ইব্রাহীম, বীর প্রতিক (অব.), জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের নির্বাহী সভাপতি আল্লামা নূর হোসেন কাসেমী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব, মুসলিম লীগের সভাপতি এ এইচ এম কামরুজ্জামান খসরু, বাংলাদেশ পিপলস লীগের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গরীবে নেওয়াজ, ন্যাপ ভাসানী চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবু তাহের, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক কমরেড সাঈদ আহম্মদ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসানুল হুদা ও বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান শাওন সাদেকী।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ২০ দল মনে করে যে, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলেই জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা কিংবা জবাবদিহি মুক্ত বাস্তবে একটি একদলীয় সরকারের আচরণে কাল্পনিক সাফল্যের দিবাস্বপ্ন দেখানোর অপপ্রয়াসই স্বাভাবিক। বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী কোভিড-১৯ এর কারণে বেকার মানুষের সংখ্যা ১৪ লাখ বলেছেন, যা বাস্তবের তুলনায় অনেক কম। অন্যদিকে যে প্রবাসীদের আয়ে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ, তাদের মধ্যে যারা ফিরে এসেছেন এবং যারা ফিরে আসার অপেক্ষা করছেন তাদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের জন্য বাস্তব সহায়তার কোনো সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি কিংবা দিক-নির্দেশনা বাজেটে নেই। করোনায় দেশের অর্থনীতির প্রধান দুই খাত তৈরি পোশাক শিল্প ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো উপার্জন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও এই দুই খাতে সংকট নিরসন ও উন্নয়নের লক্ষ্যে কোনো কার্যকর পরিকল্পনার কথা বাজেটে উল্লেখ নেই।