জুন ২০ — বিশ্ব শরণার্থী দিবস বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর বাণী

0

আজ ২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবসে আমি বিশ্বের সকল শরণার্থীদের মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার লড়াইয়ের প্রতি আন্তরিক সংহতি জ্ঞাপন করছি। বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমানভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে-যা খুবই আতঙ্কজনক। দেশে দেশে জাতিগত দাঙ্গা, ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সংঘাত, হিংসা-বিদ্বেষ ও সহিংসতায় আক্রান্ত হয়ে ক্ষুধা-দারিদ্রতার জ্বালায় নিজ দেশ থেকে উচ্ছেদ হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে মানুষ ভিন্ন দেশে শরণার্থী হচ্ছে। শরণার্থী সমস্যা একটি অন্যতম আন্তর্জাতিক সমস্যা হিসেবে বর্তমান পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছে। শরণার্থীরাও বিভিন্ন দেশে ক্ষুধা ও বেকারত্বের তাড়নায় অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট হয়ে স্থানীয় সংস্কৃতির জন্য হুমকি হয়ে পড়ায় নতুন নতুন সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে। সুতরাং শরণার্থীরা নিজ দেশ থেকে বিচ্যুত হলেও আশ্রয় ও নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জগুলো বিদ্যমান থেকেই যাচ্ছে। সুতরাং বিশ্ব শরণার্থী দিবসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরণার্থীদের মানুষ হিসেবে টিকে থাকা ও তাদেরকে মানবতার চোখে দেখার বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপরই বর্তায়। বিশ্ব শরণার্থী দিবসটি আমাদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ এজন্য যে, বাংলাদেশ বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ রোহিঙ্গাদের নানা ধরণের দুর্যোগ যেমন ক্ষুধা, আবাস, বিভিন্ন রোগের প্রাদূর্ভাব ইত্যাদি মোকাবেলায় অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। নিজ মাতৃভূমি থেকে উচ্ছেদ হওয়া এই রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বাংলাদেশী জনগণ ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এদেরকে নাগরিক হিসেবে মর্যাদা দিয়ে নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারকে বাধ্য করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। পাশাপাশি বিশ^ব্যাপী করোনার ছোবল থেকে দেশে দেশে শরণার্থীদের বাঁচাতে সবধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারকে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি আজ বিশ্ব শরণার্থী দিবসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাসহ বিশ্বের সকল শরণার্থীদের সংকট মোকাবেলায় এগিয়ে যেতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমি বিশ্ব শরণার্থীদের প্রতি সমব্যাথী এবং তাদের নিজ দেশে মাথা উঁচু করে ফেরার প্রত্যাশা করছি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com