করোনায় বৈশ্বিক মৃত্যু প্রায় সাড়ে ৪ লাখ
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) স্তব্ধ গোটা দুনিয়া। মহামারি মোকাবিলায় দেশে দেশে চলছে লকডাউন, জরুরি অবস্থাসহ নানা বিধি নিষেধ। যদিও কিছু দেশ সংক্রমণ কমতে থাকায় লকডাউন শিথিল করছে। তারপরও এতে পুরো দুনিয়া বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত ডিসেম্বরে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। এরপর চারমাস পেরোলেও নিয়ন্ত্রণের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যদিও এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারে উঠে পড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানীরা। এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে ৮২ লাখ, মারা গেছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ হাজার। তবে এর মধ্যেও আশার ব্যাপার হলো এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪৩ লাখ মানুষ।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছে ৮২ লাখ ৬৬ হাজার ৭৪১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৫৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৪৩ লাখ ২৩ হাজার ৩৫৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৮০৬ জন। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪৬ হাজার ১৯৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৫৯২ জনের।
বিশ্বে বর্তমানে ৩৪ লাখ ৯৭ হাজার ১৮৮ জন শনাক্ত করোনা রোগী রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৮৯ জন চিকিৎসাধীন, যাদের অবস্থা স্থিতিশীল। আর বাকি ৫৪ হাজার ৫৯৯ জনের অবস্থা গুরুতর, যাদের অধিকাংশই আইসিউতে রয়েছে।
করোনা ভাইরাসে বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্ত ২২ লাখ ৮ হাজার ৪০২, সুস্থ হয়েছে ৯ লাখ ৩ হাজার ৪২, মারা গেছে ১ লাখ ১৯ হাজার ১৩২ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু এবং আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রে।
দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতে আক্রান্ত ৩ লাখ ৫৪ হাজার ১৬১, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৫৫২, মারা গেছে ১১ হাজার ৯২১ জন। পাকিস্তানে আক্রান্ত ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৬০, সুস্থ হয়েছে ৫৮ হাজার ৪৩৭, মারা গেছে ২ হাজার ৯৭৫ জন। বাংলাদেশে আক্রান্ত ৯৪ হাজার ৪৮১, সুস্থ হয়েছে ৩৬ হাজার ২৬৪, মারা গেছে ১ হাজার ২৬২ জন।
আর যেসব দেশে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে, সেগুলো হলো- ব্রাজিলে আক্রান্ত ৯ লাখ ২৮ হাজার ৮৩৪, সুস্থ হয়েছে ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬৪, মারা গেছে ৪৫ হাজার ৪৫৬ জন। রাশিয়ায় আক্রান্ত ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫৮, সুস্থ হয়েছে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৩০৬, মারা গেছে ৭ হাজার ২৮৪ জন। যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত ২ লাখ ৯৮ হাজার ১৩৬, মারা গেছে ৪১ হাজার ৯৬৯ জন। স্পেনে আক্রান্ত ২ লাখ ৯১ হাজার ৪০৮, মারা গেছে ২৭ হাজার ১৩৬ জন। ইতালিতে আক্রান্ত ২ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫২৬, মারা গেছে ৩৪ হাজার ৪০৫ জন। পেরুতে আক্রান্ত ২ লাখ ৩৭ হাজার ১৫৬, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ২০৫, মারা গেছে ৭ হাজার ৫৬ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৮৮ হাজার ৩৮২, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬০০, মারা গেছে ৮ হাজার ৯১০ জন।
এছাড়া ইরানে আক্রান্ত ১ লাখ ৯২ হাজার ৪৩৯, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৬৭৫, মারা গেছে ৯ হাজার ৬৫ জন। তুরস্কে আক্রান্ত ১ লাখ ৮১ হাজার ২৯৮, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৭৯, মারা গেছে ৪ হাজার ৮৪২ জন। চিলিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৮৪ হাজার ৪৪৯, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৩২, মারা গেছে ৩ হাজার ৩৮৩ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭১৬, সুস্থ হয়েছে ৭৩ হাজার ৩৩৫, মারা গেছে ২৯ হাজার ৫৪৭ জন। মেক্সিকোতে আক্রান্ত ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৬৩, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ১৭৮, মারা গেছে ১৮ হাজার ৩১০ জন। সৌদি আরবে আক্রান্ত ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩১৫, সুস্থ হয়েছে ৮৯ হাজার ৫৪০, মারা গেছে ১ হাজার ৫২ জন। কানাডাতে আক্রান্ত ৯৯ হাজার ৪৬৭, সুস্থ হয়েছে ৬১ হাজার ৪৪৩, মারা গেছে ৮ হাজার ৩১৩ জন।
এদিকে, করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্ত ৮৩ হাজার ২৬৫, সুস্থ হয়েছে ৭৮ হাজার ৩৭৯, মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩৪ জন। দক্ষিণ আফ্রিকায় আক্রান্ত ৭৬ হাজার ৩৩৪, সুস্থ হয়েছে ৪২ হাজার ৬৩, মারা গেছে ১ হাজার ৬২৫ জন। বেলজিয়ামে আক্রান্ত ৬০ হাজার ১৫৫, সুস্থ হয়েছে ১৬ হাজার ৬২৫, মারা গেছে ৯ হাজার ৬৬৩ জন। নেদারল্যান্ডসে আক্রান্ত ৪৯ হাজার ৮৭, মারা গেছে ৬ হাজার ৭০ জন। সুইডেনে আক্রান্ত ৫৩ হাজার ৩২৩, মারা গেছে ৪ হাজার ৯৩৯ জন। ইকুয়েডরে আক্রান্ত ৪৭ হাজার ৯৪৩, সুস্থ হয়েছে ২৩ হাজার ৬৮৪, মারা গেছে ৩ হাজার ৯৭০ জন। কলম্বিয়ায় আক্রান্ত ৫৪ হাজার ৯৩১, সুস্থ হয়েছে ২০ হাজার ৩৬৬, মারা গেছে ১ হাজার ৮০১ জন। মিশরে আক্রান্ত ৪৭ হাজার ৮৫৬, সুস্থ হয়েছে ১২ হাজার ৭৩০, মারা গেছে ১ হাজার ৭৬৬ জন। পর্তুগালে আক্রান্ত ৩৭ হাজার ৩৩৬, সুস্থ হয়েছে ২৩ হাজার ২১২, মারা গেছে ১ হাজার ৫২২ জন।
অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়ায় আক্রান্ত ৪০ হাজার ৪০০, সুস্থ হয়েছে ১৫ হাজার ৭০৩, মারা গেছে ২ হাজার ২৩১ জন। সুইজারল্যান্ডে আক্রান্ত ৩১ হাজার ১৫৪, সুস্থ হয়েছে ২৮ হাজার ৯০০, মারা গেছে ১ হাজার ৯৫৪ জন। পোলান্ডে আক্রান্ত ৩০ হাজার ১৯৫, সুস্থ হয়েছে ১৪ হাজার ৬৫৪, মারা গেছে ১ হাজার ২৭২ জন। আয়ারল্যান্ডে আক্রান্ত ২৫ হাজার ৩৩৪, সুস্থ হয়েছে ২২ হাজার ৬৯৮, মারা গেছে ১ হাজার ৭০৯ জন। ফিলিপাইনে আক্রান্ত ২৬ হাজার ৭৮১, সুস্থ হয়েছে ৬ হাজার ৫৫২, মারা গেছে ১ হাজার ১০৩ জন। রোমানিয়ায় আক্রান্ত ২২ হাজার ৪১৫, সুস্থ হয়েছে ১৬ হাজার ৭১, মারা গেছে ১ হাজার ৪৩৭ জন।
প্রসঙ্গত, এ রোগের কোনো উপসর্গ যেমন জ্বর, গলা ব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, বারবার কাঁপুনি, পেশিতে ব্যথা, মাথা ব্যথা এবং স্বাদ বা গন্ধ না পাওয়া। তাই এগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বাইরে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে এবং খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করে খেতে হবে।