দেশে তরুণদের করোনায় আক্রান্তের হার বেড়েছে : বিশেষজ্ঞরা
এ মৃত্যুর হার ষটোর্ধ্বদের বেশি। নমুনা পরীক্ষা করা, ধূমপান, নিয়ম না মানার প্রবণতা, উপাজর্নক্ষম ব্যক্তি, লেখাপড়াসহ নানা কারণে তরুণদের বাইরে যেতে হয়। ফলে ২১-৪০ বছর বয়সীদের আক্রান্তের হার বেশি। এছাড়া নারী-পুরুষ বিবেচনায় করোনা রোগীদের ২৯ শতাংশ নারী এবং ৭১ শতাংশ পুরুষ। বাংলাট্রিবিউন
২৩ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে মোট আক্রান্তের ১০ শতাংশ ষাটোর্ধ্ব। ১৫ শতাংশ ৫১-৬০ বছর বয়সী, ১৮ শতাংশ ৪১-৫০ বছর বয়সী, ২২ শতাংশ ৩১-৪০ বছর, ২৪ শতাংশ ২১-৩০ বছর বয়সী এবং ১১-২০ বছর বয়সী আট শতাংশ। এছাড়া ১০ ও দশের নিচেও আক্রান্তের হার তিন শতাংশ।
প্রায় দেড় মাস পর ৬ জুন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্য দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে করোনাতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ২১-৩০ বছর বয়সীরা। তারপরেই রয়েছেন ৩১-৪০ বছর বয়সীরা। এপ্রিলে ২১-৩০ বছর বয়সীদের হার ২৪ শতাংশ থাকলেও এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ২৮ শতাংশ। এপ্রিলে ৩১-৪০ বছর বয়সীদের আক্রান্তের হার ২২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৭ শতাংশ হয়েছে। তবে এক থেকে ১০ বছরের শিশুদের আক্রান্তের হার তিন শতাংশই রয়ে গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘কাজ কিংবা বয়স যে কারণেই হোক, তরুণরা সচেতনতা বা সতর্কতা ঠিকভাবে গ্রহণ করেন না। এজন্য ২১-৩০ এবং ৩১-৪০ বছর বয়সীদের সতর্ক ও সচেতন থাকতে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। যেন পরিবারের সদস্যরা ঝুঁকিতে না পরেন।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাবেক প্রধান অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানুর রহমান বলেন, ‘তরুণরা মাস্ক পরছেন না, সামাজিক দূরত্ব মানছে না, নিয়মিত হাত ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না। বিশেষ করে সামাজিক দূরত্ব একেবারেই মানছেন না।’ তবে তাদের সর্তক হতে হবে।