বাজেটে অর্থনৈতিক সঙ্কট উত্তরণ ও সুষম ব্যবস্থাপনার দিকনির্দেশনা নেই : জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম

0

জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা শায়খ জিয়া উদ্দীন ও মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী শুক্রবার বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে বলেন এ অভিযোগ করেন।

তারা বলেন, নতুন বাজেটে মধ্য ও নিম্নবিত্ত মানুষের জীবন যাত্রাকে আরো ব্যয়বহুল ও সঙ্কটময় করে তুলবে। বিলাসী ব্যয় নিরুৎসাহিতকরণের আবরণে সর্বস্তরের মানুষের জীবনযাপনে অপরিহার্য ও ব্যাপক ব্যবহৃত বেশ কিছু খাতে কর বৃদ্ধি ও বিস্তৃত করা হয়েছে। অন্যদিকে অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করার আবরণে শিল্পতিপতিদের সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের সুদহার ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ দশমকি ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। কোনোরূপ বাছবিচার ছাড়াই প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনীতির জন্য টিউমারখ্যাত কালো টাকা সাদা করার অবারিত সুযোগ দেয়া হয়েছে। কর্পোরেট কর কমিয়ে বড় বড় ব্যবসায়িক গ্রুপের জন্য আরো সুবিধা করে দেয়া হয়েছে। শিল্পখাতের জন্য সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা রাখা হয়েছে।

জমিয়তের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, প্রস্তাবিত মোট বাজেটের প্রায় ৩ ভাগের ১ ভাগই ঋণ নির্ভর। এতে করে সরকারের ব্যাংক নির্ভরতা আরো বৃদ্ধি পাবে এবং জনগণের উপর জাতীয় ঋণের বোঝা ভয়াবহ রূপ নিবে। ব্যাংকিং খাতকে আরো সঙ্কটের দিকে ঠেলে দেয়া হবে। এতে দেশের আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা আরো ভঙ্গুর হয়ে পড়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।

মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে দেশের স্বাস্থ্যখাতের যে করুণ দশা স্পষ্ট হয়েছে, এটা থেকে উত্তরণের জন্য বাস্তবসম্মত কোনো ব্যবস্থা নতুন বাজেটে নেই। শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা ও খাদ্য নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাত প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্যখাতের মতোই অবহেলার শিকার।

জমিয়ত নেতারা আরো বলেন, প্রস্তাবিত এই বাজেট সংশোধন ছাড়া পাশ হলে একদিকে সাধারণ মানুষের জীবন-যাপনের ব্যয় বাড়বে, অন্যদিকে বড়লোকদের আরো ধনবান হওয়ার পথ সহজ হবে। অর্থনৈতিক বৈষম্য ও ধনী-গরীবের ব্যবধান আরো বাড়বে। দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com