সরকার ১২ বছরে ‘ক্যাসিনো ক্যাপিটালিজম’ জন্ম দিয়েছে

0

বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিগত ১২ বছরে এদেশে ‘ক্যাসিনো ক্যাপিটালিজম’-এর জন্ম দিয়েছে সরকার। কুয়েতে লক্ষ্মীপুরের এমপি পাপুল গ্রেপ্তার তারই বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, পাপুলদের অপকর্মের দায় সরকার এড়াতে পারে না। গতকাল নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, মানবপাচার ও হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে কুয়েতে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পৃষ্ঠা ১৫ কলাম ১
কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যা বাংলাদেশের জন্য চরম লজ্জার হলেও সরকারের টনক নড়েনি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারের হিড়িক চলে।

রিজভী বলেন, বর্তমানে এমপি হতে ভোটের প্রয়োজন হয় না। নির্বাচনের আগের রাতেই নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রাতের ভোটে এমপি বানিয়ে দেন। লক্ষ্মীপুরের সেই এমপি তারই একটি উদাহরণ।

বিএনপি’র এই নেতা বলেন, বিগত ১২ বছরে সুইস ব্যাংকসহ মালয়েশিয়া, কানাডায় লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ব্যাংক লুট, শেয়ার বাজার লুট, মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকার মহাদুর্নীতি, দখল ও নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে দেশজুড়ে যে লুটের মহোৎসব চলছে কুয়েতে এমপি গ্রেপ্তার তারই একটি নমুনা মাত্র।

রিজভী অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেকটাই অপরিচিত, শুধু পাপুল একাই এমপি হননি, তার স্ত্রীকেও এমপি বানিয়েছেন। যাদের ধনস্ফীতির কোনো বৈধ উৎস জানা যায় না, তাদেরকেই রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে প্রকৃত রাজনীতিক ও রাজনীতিকে ধ্বংস করে। এরা ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই জনগণই ক্ষমতার উৎসকে বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গন থেকে বিদায় করে পাপুলদের পরিচর্যা করা হয়েছে নিরন্তরভাবে। পাপুলদের অপকর্মের দায় সরকার এড়াতে পারে না। বিশ্বে প্রচলিত অর্থনীতির ধারণার সঙ্গে বাংলাদেশের ফটকাবাজি অর্থনীতির মিল নেই। কারণ বিগত ১২ বছরে এদেশে ‘ক্যাসিনো ক্যাপিটালিজম’ এর জন্ম দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু থামছেই না। সরকারের ব্যর্থতায় প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। সরকারি প্রেসনোটে প্রতিদিন যে খবর প্রকাশিত হচ্ছে বাস্তবতার সঙ্গে তার কোনো মিল নেই। একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার, একটি ভেন্টিলেটরের জন্য মানুষ হাহাকার করছে। প্রতিবছরই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বাজেট দশ হাজার থেকে বিশ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকে। এই বরাদ্দের টাকা দিয়ে যদি স্বাস্থ্যখাতের উন্নতি করা হতো তাহলে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশ মুখ থুবড়ে পড়তো না।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com