আহসান উল্লাহর মৃত্যুতে তারেক-ফখরুলের শোক

0

দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কমিশনার আহসান উল্লাহ হাসানের মৃত্যুর গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (৮ জুন) সকালে পৃথক পৃথক শোক বার্তায় তারা এই  শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। 

শোক বার্তায় তারেক বলেন, ‌‘করোনা রোগে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসানের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে ব্যাথিত। তার মৃত্যু এই সংকটকালে দলের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি। মরহুম আহসান উল্লাহ হাসান দলের একজন বলিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল নেতা ছিলেন, দলের সকল সংকট কালে তার সাহসী নেতৃত্ব অত্র এলাকার নেতাকর্মীদের প্রেরণা যুগিয়েছে।’

আহসান উল্লাহ হাসান অবদান স্মরণ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘তিনি (আহসান) ছিলেন একজন দক্ষ সংগঠক, তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর উত্তরে বিএনপি সুসংগঠিত ও শক্তিশালী হয়ে উঠে। সকল স্বৈরাচারি আমলে জুলুমের মধ্যেও তিনি দলের কর্তব্যকর্ম থেকে পিছপা হননি। বিগত ১২ বছর আইনের শাসন, ন্যায় বিচার ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামে মরহুম হাসান শারিরীক নির্যাতনসহ কারা নির্যাতন ভোগ করেছেন অসংখ্যবার।’

তিনি বলেন, ‘শহীদ জিয়া ও তার জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দর্শন ছিল আহসান উল্লাহ হাসানের পথ চলার প্রেরণা। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সকল আন্দোলনে শামিল হয়ে মরহুম হাসান শত নির্যাতন সহ্য করেও দলীয় কর্মসূচি সফল করতেন। করোনার আঘাতে তার এই অকাল মৃত্যু ঢাকা মহানগর বিএনপি’র জন্য এক বড় ধরনে শূন্যতার সৃষ্টি হলো।’

তারেক বলেন, ‘আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার শোকাহত পরিবার, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। তার সহধর্মিনীরও করোনা পজেটিভ হওয়ায় আমি বেদনার্ত বোধ করছি, মহান আল্লাহ যেন তাকে আশু সুস্থতা দান করেন।’

এদিকে পৃথক শোক বার্তায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীর বিএনপিতে হাসান ছিলেন একটি শক্তিশালী স্তম্ভ। নানা চড়াই উৎরাইয়ের মধ্যেও মরহুম হাসান ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপিকে সুসংগঠিত করেছিলেন নিজের সাংগঠনিক প্রতিভাবলে। করোনা ভাইরাসের ছোবলে তার মতো একজন যোগ্য ও দক্ষনেতা না ফেরার দেশে চলে গেলেন বিএনপি’র সকল নেতাকর্মীকে শোক সাগরে ডুবিয়ে।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকে শহীদ জিয়ার আদর্শ ও দেশনেত্রীর নেতৃত্বে অনুপ্রানিত হয়ে দলে যোগদান করার পর মাথা উঁচু করে সকল স্বৈরাচারের চোখ রাঙ্গানীকে উপেক্ষা করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছিলেন। এই জন্য তাকে সইতে হয়েছে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন। তার এই সংগ্রামি ভূমিকার জন্য তিনি দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিলেন অত্যান্ত প্রিয়।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তিনি সমাজ সেবাকে রাজনীতির মূল লক্ষ্য করেছিলেন, তাই আমরা দেখেছি এই করোনাকালেও তিনি নিরন্ন কর্মহীন মানুষের পাশে বারবার ত্রান সামগ্রী নিয়ে দাঁড়িয়েছেন নিজের সামর্থ্যনুযায়ী। করোনা মোকাবেলায় সরকারি ব্যার্থতায় অন্যান্য মৃত্যুবরনকারীদের মতো চিকিৎসা না পেয়ে সাবেক কমিশনার আহসান উল্লাহ হাসানকেও জীবন দিতে হলো। এই শোক কাটিয়ে উঠা অত্যান্ত কঠিন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকার্ত পরিবার, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। করোনায় আক্রান্ত তার সহধর্মিনীর আশু সুস্থতা কামনা করছি।’

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com