করোনাভাইরাস: বাংলাদেশে আরও ২২ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৪১ রোগী
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হলো ৫৪৪ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৪১ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ২৯২ জনে।
আজ (বুধবার) দুপুরে স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ ও দুজন নারী। তাদের মধ্যে ১০ জন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন; ১০ চট্টগ্রাম বিভাগের এবং দুইজন জন সিলেট বিভাগের। এই ২২ জনের মধ্যে ১০ বছরের কম বয়সী একটি শিশুও রয়েছে। বাকিদের মধ্যে একজনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।
ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, ৪৮টি ল্যাবের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৭ হাজার ৮৪৩টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ৮ হাজার ১৫টি। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষা করা হয়েছে দুই লাখ ৬৬ হাজার ৪৫৬টি। ঢাকায় ২৫টি ও ঢাকার বাইরে ২৩টি ল্যাবে এসব নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৪৬ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ৯২৫ জন। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৭০ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।
নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ২৮১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪ হাজার ৯৯৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫৭ জন। এখন পর্যন্ত ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৩৮০ জন।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১৩ হাজার ২৬৪টি। প্রস্তুত করা হচ্ছে আরও ৭০০ শয্যা। ঢাকার ভেতরে রয়েছে সাত হাজার ২৫০টি। ঢাকা সিটির বাইরে ছয় হাজার ১৪টি শয্যা আছে। আইসিইউ সংখ্যা আছে ৩৯৯টি, ডায়ালাসিস ইউনিট আছে ১০৬টি।
নাসিমা সুলতানা আরও জানান, ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিইনে এসেছেন ২৭৮৯ জন, ছাড় পেয়েছেন ২০৮২ জন। মোট ছাড় পেয়েছেন ২ লাখ ১৪ হাজার ৪০৮ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিইনে আছেন ৫৬ হাজার ৬৯৬ জন। কোয়ারেন্টিইনে ছিলেন ২ লাখ ৭১ হাজার ১০৪ জন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, “আপনার সুস্থতা আপনার হাতে”।
প্রসঙ্গত, গত ৮ই মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। শুরুর দিকে রোগীর সংখ্যা কম থাকলেও এখন সংক্রমণ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।