দেশে একদিনে মৃত্যু ১৬, আক্রান্ত রেকর্ড ১৬১৭
চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে রেকর্ড ১ হাজার ৬১৭ জনের শরীরে।
এ পর্যন্ত দেশে কভিড-১৯ মোট আক্রান্ত দাঁড়াল ২৬ হাজার ৭৩৮ জন; এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৮৬ জনের। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৪৪ শতাংশ।
চব্বিশ ঘণ্টায় ২১৪ জন নিয়ে মোট আরোগ্যের সংখ্যা ৫ হাজার ২০৭ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ১৯.৪৭ শতাংশ।
করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে বুধবার দুপুরে এসব হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, চব্বিশ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করা ১৬ জনের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, তিনজন নারী। ঢাকা বিভাগের সাতজন, চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচজন, সিলেট বিভাগের একজন, রংপুর বিভাগের তিনজন। হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের, বাসায় চারজনের।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে ০-১০ বছরের মধ্যে একজন, ২১-৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে চারজন, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে দুজন এবং ৮১-৯০ বছরের মধ্যে একজন।
চব্বিশ ঘণ্টায় দেশের ৪৩টি ল্যাব থেকে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১১ হাজার ১৩৮টি, এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ হাজার ২০৭টি নমুনা। তাতে সর্বোচ্চ রেকর্ড ১ হাজার ৬১৭ শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে।
সংক্রমণ শনাক্তে আগের রেকর্ডটি ছিল ১,৬০২ জন, ১৮ মে।
চব্বিশ ঘণ্টায় আইসোলেশনে আনা হয়েছে ৩০০ জন, ছাড় পেয়েছেন ১০০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৩ হাজার ৮১৬ জন।
একদিনে কোয়ারেন্টাইনে আনা হয়েছে ৪ হাজার ১১ জন, ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ২৮৭ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫২ হাজার ৯৪১ জন।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর খোঁজ মেলে; এর দশ দিনের মাথায় ঘটে প্রথম মৃত্যু।