করোনার মধ্যে সম্প্রীতির অনন্য নজির, হিন্দু বৃদ্ধের মরদেহ সৎকারের দায়িত্ব নিলেন মুসলিম যুবকরা!

0

গোটা বিশ্ব এখন কাঁপছে করোনাভাইরাস আতঙ্কে। মারণ এই  ভাইরাসের বিষাক্ত ছোবল থেকে বাঁচতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ন্যায় ভারতেও চলছে লকডাউন। করোনা আতঙ্কে জবুথবু সবাই কেউ একটু অসুস্থ হলেই কিংবা শারীরিক কোনও অসুস্থতা দেখা দিলে, অথবা কারও মৃত্যু হলেই করোনার শিকার বলে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কেউ, বিশেষত বৃদ্ধ কেউ মারা গেলেও এগিয়ে আসছেন না অন্যান্যরা। এরকমই একটি ঘটনা ঘটল ভারতের পুনেতে। আর সেখান থেকে জন্ম নিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য দৃশ্যের।

পুনের ডায়াস প্লটের গুলটেকডি মার্কেটের কাছে থাকতেন এক বৃদ্ধ। ৮০ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয় সম্প্রতি। কিন্তু তার মৃত্যুর পর প্রতিবেশীরা ভেবে নেয় করোনায় মৃত্যু হয়েছে তার। তাই কেউ এগিয়ে আসেনি শেষকৃত্যের জন্যে। বৃদ্ধের মৃতদেহ নিয়ে অথৈ জলে পড়েন তার পুত্র ও পুত্রবধূ।এরপর ঘটনার কথা জানাজানি হয়। তখনই এগিয়ে আসেন এলাকার কয়েকজন মুসলিম যুবক। তারা পুলিশের অনুমতি নিয়েই ব্যবস্থা করেন একটি অ্যাম্বুল্যান্সের। সেই অ্যাম্বুল্যান্সেই মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। হিন্দু রীতিতেই সম্পন্ন হয় শেষকৃত্য।


দিনকয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরেও একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। প্রতিবেশীরা মনে করেছিলেন করোনা সংক্রমণের জেরেই হয়তো মৃত্যু হয়েছে তার। তাই শেষ দেখাটুকুও কেউ দেখতে আসেননি। পাড়া-প্রতিবেশী তো আসেনইনি। এমনকি আত্মীয়-স্বজনরাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন অসহায়, শোকাহত পরিবারটির দিক থেকে। তাহলে, সৎকার কী করে হবে? চিন্তায় পড়ে যান বৃদ্ধের পরিবার। কারণ শ্মশান পর্যন্ত কাঁধে করে নিয়ে যাওয়ারও যে কেউ নেই!

খবর জানাজানি হতেই, একদল মুসলিম যুবক তৎক্ষণাৎ চলে আসেন মৃত হিন্দু বৃদ্ধর বাড়িতে। জানতে পারেন, কাঁধ দেওয়ার কিংবা সৎকার করার কেউ নেই। অসহায় পরিবারের চরম বিপদ দেখে ওই মুসলিম যুবকরাই তার পরিবারকে আশ্বাস দেন যে, সৎকারের সমস্ত ব্যবস্থা তারাই করবেন। মাথায় ফেজ টুপি, আর মুসলিম যুবকদের মুখে তখন ‘রামনাম সত্য হ্যায়’ ধ্বনি। কাঁধে করে শ্মশান পর্যন্ত নিয়ে বৃদ্ধের সৎকারের ব্যবস্থাও তারাই করেন। সূত্র: এই সময়

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com