ফের বাড়ছে বায়ু দূষণ
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বায়ু দূষণের শিকার দেশগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে বাংলাদেশ। ফলে অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছেনে এবং নানান রোগে ভুগছেন। দেশে করোনা সংক্রমণের পর কারখানা, দোকানপাট, যানবাহন বন্ধ থাকায় এবং মানুষ ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করলে ঢাকাসহ সারাদেশের বায়ু দূষণ কমতে থাকে। একপর্যায়ে দেশের বায়ু স্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আসে।
তবে সম্প্রতি দেশে ফের কারখানা, দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। বাড়তে শুরু করেছে যানবাহন, মানুষের আনাগোনা। ফলে ফের বাড়তে শুরু করেছে বায়ু দূষণ।
বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটের রিয়েল টাইম বায়ু মান সূচক অনুযায়ী, গত ৩ মে সকাল ১০টা থেকে ১১টা সময়ে ঢাকার বায়ুর মান ছিল ৮৫ পিএম ২.৫।
তাদের হিসাব অনুযায়ী, ১২ দিন পর অর্থাৎ শুক্রবার (১৫ মে) সকাল ১০টা থেকে ১১টা সময়ে ঢাকার বায়ুর মান ১২৯ পিএম ২.৫। অর্থাৎ, ইতিমধ্যে বায়ু দূষণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটের তথ্য অনুযায়ী, সবসময় প্রথম সারিতে থাকায় বাংলাদেশ ৩ মে’র সেই সময়ে দূষণ কমায় ৩৯তম স্থানে চলে আসে। তবে দূষণ বাড়ায় বাংলাদেশ আজ এই সময়ে চলে এসেছে সর্বোচ্চ দূষণের ২২তম দেশে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরেকটি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার সারাবিশ্বের বায়ু দূষণ পরিমাপ করে। সর্বোচ্চ গড় দূষণের ভিত্তিতে তারা একটি তালিকাও করে। তাদের হিসাব অনুযায়ী, গড় দূষণ সর্বোচ্চ থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ দূষিত দেশের শীর্ষে রয়েছে। করোনার সময়ে বায়ু দূষণের পরিমাণ কিছুটা কমলেও গড় দূষণ বেশি থাকায় সবচেয়ে দূষিত দেশের প্রথমে থাকা বাংলাদেশের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। বিশ্বে বাংলাদেশ এখনও গড়ে সবচেয়ে বেশি দূষিত দেশ।