আফগানিস্তানে ট্রাক বোমা হামলায় নিহত ৫
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় পাকতিয়া প্রদেশে বিস্ফোরক বোঝাই একটি ট্রাক বিস্ফোরণে পাঁচ জন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকালে গারদেজ শহরের এ ঘটনায় অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছে। একজন সামরিক মুখপাত্রের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তারিক আরিয়ান বলেন, “গারদেজ শহরের এক সামরিক আদালতে কাছে একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এতে বহু বেসামরিক নিহত ও আহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।”
তালেবান এ হামলা চালিয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ।
পাকতিয়া প্রদেশের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ইমাল খান মোহাম্মদ জানান, বিস্ফোরক বোঝাই একটি ট্রাক দিয়ে হামলাটি চালানো হয়, এতে পাঁচ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হন।
এ হামলার জন্য তালেবান বিদ্রোহীদের মিত্র হাক্কানি নেটওয়ার্ক ও পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর ই তৈয়বা জঙ্গি গোষ্ঠীকে দায় দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরিয়ান। তবে এই দুটি গোষ্ঠী খুব কমই প্রকাশ্যে কোনো হামলা দায় স্বীকার করে থাকে।
এর আগে, মঙ্গলবার কাবুলের একটি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে বন্দুকধারীদের হামলায় নবজাতক ও নারীসহ ২৪ জন নিহত এবং নানগাহার প্রদেশে এক পুলিশ কমান্ডারের জানাজায় ইসলামিক স্টেটের আত্মঘাতী হামলায় ৩২ জন নিহত হওয়ার দুই দিন পর দেশটিতে ফের প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটল। তবে ওই দুই হামলার সঙ্গে তারা কোনোভাবেই জড়িত নয় বলে দাবি করেছে তালেবান।
মঙ্গলবারের রক্তক্ষয়ী হামলা দুটির পর আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ওই হামলা দুটির নিন্দা জানিয়ে সামরিক বাহিনীকে আত্মরক্ষামূলক অবস্থান পাল্টে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় যাওয়ার নির্দেশ দেন।
যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের সৈন্যদের সরিয়ে নিয়ে তালেবানের সঙ্গে আফগানিস্তান সরকারের শান্তি আলোচনার প্রচেষ্টা নেওয়ায় সামরিক বাহিনীকে আত্মরক্ষামূলক অবস্থানের নির্দেশনা দিয়েছিল আশরাফ গনির সরকার।
কিন্তু তারা এমন দাবি করলেও আফগানিস্তান সরকারের অভিযোগ, বিদ্রোহী এই গোষ্ঠীটি সন্ত্রাসবাদ উস্কে দেওয়ার মতো পরিবেশে সৃষ্টিতে কাজ করছে অথবা এমন অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করছে যারা তালেবান ও আফগানিস্তান সরকারকে একত্রে বসাতে যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া উদ্যোগ ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।