শরণার্থী শিবিরে ফিলিস্তিনি শিশু হত্যা করল ইসরায়েল
ফিলিস্তিনের দখলকৃত পশ্চিম তীরের হেব্রন প্রদেশে একটি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়ে এক শিশুকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে ইসরায়েলের দখলদার বাহিনীর সংঘর্ষের সময় এ ঘটনা ঘটেছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আলজাজিরা।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিবৃতিতে জানায়, ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ওই শিশুর নাম জিয়াদ কাইসিয়া (১৫)। হেব্রনের আল ফাওয়ার শরণার্থী শিবিরে সংঘর্ষ চলাকালীন তার মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে আরও ৬ যুবক মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের বুকে, একজনের পেটে আর অপর দুজনের নিম্নাঙ্গে গুলি করে ইসরায়েলি সেনারা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা নাজ্জার বলেন, ইসরায়েলি সেনারা শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়ে বেশ কিছু কমবয়সী শিশুকে গ্রেফতার করে। সেনাদের মধ্যে কয়েকজন ঘরের উপরে অবস্থান নেয়। জিয়াদ নামের শিশুটি তখন তাদের ঘরের মাথায় দাঁড়িয়ে তাদেরকে দেখছিল। এমন সময় ‘সরাসরি তারা মাথায় গুলি করে ইসরায়েলি সেনারা’।
তবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ‘সেনারা কয়েকজনকে গ্রেফতারের উদ্দেশে গিয়ে সেখানে সহিংসতার সম্মুখীন হয়। সংঘর্ষকারীদের মাধ্যমে আমাদের একজন সেনা সদস্যও সামান্য আঘাত পেয়েছেন। একজন নিহত ছাড়াও কয়েকজন ফিলিস্তিনির আহত হওয়ার খবর আমরা জানতে পেরেছি।’
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সেনাদের লক্ষ্য করে ফিলিস্তিনিরা যখন পাথর ছুড়ছিল তখন ইসরায়েলি সেনারা সরাসরি গুলি, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় মাথায় গুলি লাগার পর হাসপাতালে নেওয়া হলে শিশুটি মারা যায়।