৯/১১ হামলায় সংশ্লিষ্ট সৌদি কূটনীতিকের নাম প্রকাশ
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে বিমান হামলা চালানো আল কায়েদার দুই হাইজ্যাকারকে সমর্থন দেওয়া এক সৌদি কূটনীতিকের নাম জানা গেছে। মুসায়েদ আহমেদ আল জাররাহ নামের ওই ব্যক্তি ওয়াশিংটনের সৌদি দূতাবাসের মধ্যম সারির কর্মকর্তা ছিলেন। হামলায় ক্ষতিগ্রস্থদের দায়ের করা মামলা সংক্রান্ত ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) একটি নথি ভুলবশত প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় ওই কর্মকর্তার নাম সামনে আসে। ইয়াহু নিউজের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, এফবিআই ভুলক্রমে ওই নথিটি প্রকাশ করে ফেলেছে।
২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে হামলায় কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা এক মামলায় সৌদি সরকারের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলা হয়। এই অভিযোগের সঙ্গে এফবিআই কর্মকর্তা জিল স্যানবর্ন আদালতে যে নথিগুলো পেশ করেছিলেন তা ভুলবশত প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মুসায়েদ আহমেদ আল জাররাহ-এর নাম সামনে আসলো। তিনি সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মুসায়েদ আহমেদ আল জাররাহ ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ওয়াশিংটন দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি অর্থায়নে পরিচালিত মসজিদ ও ইসলামিক কেন্দ্রগুলো তদারকির দায়িত্বে ছিলেন।
ওই নথিটি প্রথম শনাক্ত করেন ইয়াহু নিউজের চিফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট মাইকেল ইশিকফ। আল জাজিরাকে তিনি জানান, ভুলক্রমে নথিটি প্রকাশ হয়ে পড়েছে তা বোঝাই যাচ্ছিল। তিনি বলেন, নথিতে সৌদি কর্মকর্তার নাম প্রকাশ হওয়ার পর মন্তব্যের জন্য এফবিআই’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ‘কারণ আমি জানতাম বিচার বিভাগ ও ট্রাম্প প্রশাসন এই তথ্য দীর্ঘ সময় ধরে গোপন রাখতে চায়’, বলেন ইশিকফ।
এফবিআই’র সন্ত্রাসদমন বিভাগের সহকারী পরিচালক জিল স্যানবর্ন গত এপ্রিলে নথিটি আদালতে দাখিল করেন। গত সপ্তাহ পর্যন্ত তা গোপনই ছিল। পরে তা ফাঁস হয়ে যায়। নথিটিতে বলা হয়েছে, আল কায়েদার দুই বিমান হাইজ্যাকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন সৌদি কূটনীতিক মুসায়েদ আহমেদ আল জাররাহ।
তবে আল জাররাহ’র বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার প্রমাণ কতোটুকু জোরালো তা স্পষ্ট নয়। বর্তমানে ওই সৌদি কূটনীতিক কোথায় আছেন তাও জানা যায় না। ৯/১১ হামলায় ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবারের মুখপাত্র ব্রেট এগলেসন বলেন, ‘নথি প্রকাশ হয়ে পড়ায় দেখা যাচ্ছে সরকার সম্পূর্ণভাবে সৌদি সংশ্লিষ্টতা গোপন রাখতে চেয়েছে। এটা বিশাল অব্যবস্থাপনা।’