করোনা নিয়ে ট্রাম্পের নতুন দাবি

0

প্রথমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সহকারীর শরীরে করোনা ধরা পড়েছিল। তারপর ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের প্রেস সচিব‌ও আক্রান্ত হন। এবার প্রেসিডেন্ট কন্যা ইভাঙ্কার ব্যক্তিগত সহকারীর রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর মিলেছে। ফলে আশঙ্কার মেঘ ঘনিয়েছে হোয়াইট হাউসে। যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের অবস্থানে অনড়। ভ্যাকসিন ছাড়াই করোনাকে দূর করা সম্ভব হবে বলেও এদিন মন্তব্য করেছেন তিনি।

গত দু’মাস ধরে ইভাঙ্কা বা তার স্বামী জেয়ার্ড কুশনারের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট কন্যার ব্যক্তিগত সহকারীর সরাসরি সাক্ষাৎ হয়নি বলেই জানা গেছে। শুক্রবার ওই দম্পতির পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তবে, পেন্সের প্রেস সচিব কেটি মিলারের বৃহস্পতিবারের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। শুক্রবার ফের পরীক্ষা হলে তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এতে অবশ্য অবাক হননি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার কথায়, ‘আগেই বলেছিলাম এই পরীক্ষা ১০০ শতাংশ নির্ভুল হতে পারে না।’

জানা গেছে, কেটি মিলারের স্বামী স্টিফেন মিলার ট্রাম্পের অভিবাসন সংক্রান্ত উপদেষ্টা হওয়ার পাশাপাশি তার বক্তৃতাগুলো লিখে দেওয়ার কাজও করেন স্টিফেন। তবে, তার করোনা পরীক্ষা হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই কেটি মিলারের সংস্পর্শে আসা ছ’জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, সমস্ত কর্মীকে হোয়াইট হাউসের ভিতরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে চলেছে প্রশাসন। ওয়েস্ট উইংয়ে ভাইস প্রেসিডেন্টের দপ্তরকে নিয়মিত স্যানিটাইজ‌ও করা হচ্ছে।

এদিকে, বিশ্বজুড়ে শনিবার পর্যন্ত মারণ ভাইরাসের শিকার ৩৯ লক্ষ ৪১ হাজার। প্রাণ হারিয়েছেন ২লক্ষ ৭৭ হাজার জন। শুধুমাত্র আমেরিকাতেই আক্রান্তও ১৩ লক্ষ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার সংক্রমণে গোটা দেশে মৃত্যু হয়েছে দেড় হাজারের‌ও বেশি মানুষের। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা মৃতের সংখ্যা ৭৯ হাজার ছুঁতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে রোগীর বিপুল চাপে ভেঙে পড়তে বসেছে দেশের বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। তেমনটা যাতে না ঘটে, তার জন্য সে দেশে কর্মরত প্রায় ৪০ হাজার অভিবাসী চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীকে গ্রিন কার্ড দেওয়ার আইন আনতে মার্কিন সাংসদরা বিল পেশ করেছেন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে।

এরই মধ্যে নিউ ইয়র্কে শিশুদের শরীরে করোনার সঙ্গে সম্পর্কিত এক ধরনের বিরল রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করেছে। চিকিৎসার পরিভাষায় একে বলা হয় ‘পেডিয়াট্রিক মাল্টি সিম্পটম ইনফ্লামেটরি সিনড্রোম।’ গত বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্ক শহরে একটি বছর পাঁচেকের শিশুও একই রকম উপসর্গ নিয়ে মারা যায়। নিউইয়র্ক ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় এরকম ৭৩টি ঘটনা সামনে এসেছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, রাশিয়াতে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। ফ্রান্স ও জার্মানিকে টপকে সেদেশে এখনও পর্যন্ত সংক্রামিত ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ও মৃত ১ হাজার ৭২৩ জন। পাশাপাশি, ফ্রান্স ও জার্মানিতে মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ২৫ হাজার ৯৮৭ এবং ৭ হাজার ৩৯২ জনের। মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে ইতালিতে। ব্রিটেনেও শনিবার পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩০ হাজার ৬১৫ জনের। সংক্রমণ ঠেকাতে বিদেশ থেকে আসা প্রত্যেক যাত্রীকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ দিয়েছে বরিস জনসন সরকার। এদিকে, আক্রান্ত বাড়লেও লকডাউন শিথিল করেছে পাকিস্তান সরকার।

উদ্বেগ বাড়িয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু)অন্যতম কর্তা ডাঃ মিচেল রেয়ান। গরম বা ঠাণ্ডা – কোনোটাই করোনা ভাইরাসের উপর প্রভাব ফেলতে পারে না বলে জানিয়েছেন তিনি। চলতি মাসে করোনা আক্রান্তকে চিহ্নিত করতে একটি অ্যাপ আনতে চলেছে হু।

সূত্র : বর্তমান

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com