চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হজযাত্রীরা
জেটিভি রিপোর্ট: কারিগরি জটিলতায় হজযাত্রীদের সৌদি অংশের আগাম ইমিগ্রেশন না হলেও আঙ্গুলের ছাপ ও পাসপোর্ট স্ক্যানিংসহ প্রাথমিক কিছু কাজ ঢাকাতেই হচ্ছে। এতে আগের চেয়ে দুর্ভোগ কমবে বলে মনে করছে হজ অফিস। তবে তিন দিন আগেই হজযাত্রীদের রিপোর্ট করতে হওয়ায় ডরমিটরিতে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। ক্যাম্পের রেস্তোরাঁয় খাবারের বাড়তি দাম নেয়ারও অভিযোগ হাজিদের।
কথা ছিল আশকোনা হজ ক্যাম্পে মুসল্লিদের বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হবে। এরপর বিমানে ওঠার আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক্সক্লুসিভ জোনে হবে সৌদি অংশের আগাম ইমিগ্রেশন।
মোট দেড় শতাধিক ফ্লাইটের ৬০ হাজার যাত্রীর আগাম ইমিগ্রেশনের প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে। কিন্তু সৌদি ইমিগ্রেশন নেটওয়ার্কের সমস্যার কারণে ভেস্তে গেল সব। যাত্রীদের আঙ্গুলের ছাপ, ছবি স্ক্যানিংসহ প্রাথমিক কিছু কাজ হজ ক্যাম্পে হলেও চূড়ান্ত ইমিগ্রেশন হচ্ছে জেদ্দায়।
এদিকে অঞ্চলভিত্তিক মুয়াল্লেম বা গাইড নিয়োগ না হওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা হাজীরা বিপাকে পড়েছেন। পাচ্ছেন না প্রয়োজনীয় সেবা ।
নির্ধারিত ফ্লাইটের তিন দিন আগে হজযাত্রীদের রিপোর্ট করতে হওয়ায় ডরমিটরিতে স্থান সংকুলানে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। রেস্তোরাঁয় খাবারের মান ও দাম নিয়েও রয়েছে অভিযোগ।
অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে সমস্যা হচ্ছে স্বীকার করে হজ ক্যাম্পের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলছেন, সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
হজ ক্যাম্পে দেড় হাজার হাজী থাকার ব্যবস্থা থাকলেও পুরুষ ও মহিলা ডরমিটরি মিলিয়ে বর্তমানে অবস্থান করছেন তিন হাজার হজযাত্রী। ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন যাত্রীর মধ্যে এ পর্যন্ত ভিসা হয়েছে ৩৬ হাজারের।