করোনা ছড়াতে পারে, নভেম্বর থেকেই জানতো চীন: যুক্তরাষ্ট্র

0

করোনা ভাইরাসের মহামারির জন্য চীনই দায়ী বলে মনে করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একাধিকবার সেকথা উল্লেখ করেছে ওয়াশিংটন। এবার মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেওর দাবি ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকেই করোনাভাইরাসের ব্যাপারে জানতো চীন। কিন্তু কোনও তথ্য বা সাবধানবাণী দেয়নি গোটা বিশ্বকে। যার জেরে এই ভাইরাস এত তীব্র আকার নিয়েছে।

আমেরিকার অভিযোগ চীনের দেয়া তথ্যে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। কারণ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রথম ঘটে নভেম্বরে। যা চীন লুকিয়ে গিয়েছিল। এরপর ডিসেম্বর থেকে সংখ্যাটা বাড়তে থাকে। মাইক পম্পেও দাবি করেন ব্যবস্থা নিতে চিন এতটাই দেরি করে ফেলেছিল, যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। গোটা বিশ্বকে বিপদের মুখে ফেলে দিয়েছে বেজিং। প্রথম করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাকে উপেক্ষা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও সমস্যার মুখে ফেলে দেয়া হয়েছে।কোন কূটনৈতিক খেলায় মেতে একের পর এক অদ্ভুত তথ্য দিচ্ছে চীন, তাও ধরা মুশকিল। উহান, যেখান থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, সেখানে এখন মাত্র দুজন করোনা আক্রান্ত রয়েছেন, যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান, চাইনিজ সেন্টার অফ ডিজিড প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোলের মুখপাত্র মি ফেং।

তবে কিছু জায়গায় এখনও সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে গেছে বলে জানিয়েছেন মি। তার উৎস খুঁজে বের করার কাজ চলছে। যাতে নতুন করে কেউ সংক্রামিত না হন। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাথার ওপর থেকে আর্থিক সাহায্য সরিয়ে নেওয়ার পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পাশে দাঁড়াতে চেয়েছে চীন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য দেওয়ার।

একদিকে নিজের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখার চেষ্টা, অন্যদিকে বিশ্বের দরবারে সুযোগ বুঝে দাদাগিরি ফলানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন চীনে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়াকে বিশ্বের কাছে সঠিক গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেনি WHO। বিশ্বব্যাপী করোনার বিস্তারে হু-এর অস্বচ্ছ ভূমিকা রয়েছে। চীনের দেওয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করে এগোনোর ফলে বিশ্বে করোনা হানার ভয়াবহতা ২০ গুণ বেশি বেড়েছে, যা কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com