ইরানের প্রথম সামরিক স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র
করোনা মহামারির আবহে প্রথম সামরিক উপগ্রহ ‘নূর’-এর উৎক্ষেপ করল ইরান। বুধবার ইরানের প্যারামিলিটারি ফোর্স ‘রিভলিউশনারি গার্ড’-এর তরফ থেকে সফলভাবে উপগ্রহটি উৎক্ষেপণের খবর জানানো হয়েছে। এতে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র পুরোপুরি নজর রাখার কথা স্বীকার করেছে। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি বুধবার সফল ভাবে ‘নূর’কে উৎক্ষেপণ এবং ৪২৫ কিলোমিটার ঊর্ধ্বাকাশের কক্ষপথে স্থাপন করেছে।
জানা গেছে, ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় মরুভূমি দাশত-ই কাভির থেকে ‘নূর’ উপগ্রহকে নিক্ষেপ করা হয়। এ কৃত্রিম উপগ্রহ কক্ষপথ পর্যন্ত বহন করেছে ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি বাহক রকেট কাসেদ (বার্তাবাহক)। আইআরজিসি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সামরিক উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হয়।‘নূর’কে উৎক্ষেপণের ঘোষণা পরই আমেরিকার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের ভাইস চেয়ারম্যান মার্কিন বিমান বাহিনীর জেনারেল জন হাইটেন বলেন, ওয়াশিংটন এ উৎক্ষেপণের দিকে গভীর নজর রেখেছে। এদিকে, দিন শেষে মার্কিন বিমান বাহিনীর ১৮তম মহাকাশ নিয়ন্ত্রণ স্কোয়াড্রন সংক্ষেপে ১৮ এসপিসিএস এক টুইট বার্তায় কক্ষপথে দুটি বস্তু শনাক্ত করার ঘোষণা দেয়। এতে বলা হয় এ দুটিই ইরান ছোঁড়া হয়েছে। বার্তায় এর একটিকে বাহক এবং অপরটিকে কৃত্রিম উপগ্রহ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
মহাকাশে মার্কিন সামরিক অভিযান সামগ্রিকভাবে নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিযুক্ত পেন্টাগনের নব নির্মিত সংস্থা ইউএস স্পেস কমান্ডও স্বীকার করে, ইরান উৎক্ষেপণের কার্যকর প্রযুক্তি অর্জনের যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তার ওপর গভীর নজর রাখছে আমেরিকা। উল্লেখ্য, এর আগে ‘জাফর ১’ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সমস্ত প্রচেষ্টা শেষ মুহূর্তে ভেস্তে যায়। ইরানের ইতিহাসে প্রথমবার এই ধরনের সাফল্যকে রাজনৈতিক দৃষ্টিতেও খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।