যুক্তরাজ্যে বছর জুড়ে থাকবে সামাজিক নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাজ্যের জনগণকে চলতি বছর জুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত সামাজিক নিষেধাজ্ঞাগুলো মেনে চলতে হবে। সরকারের প্রধান মেডিকেল উপদেষ্টা এই তথ্য দিয়েছেন।
অধ্যাপক ক্রিস হুইটির বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, খুব শিগগিরই জীবন হঠাৎ স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এমন প্রত্যাশা করা ‘সম্পূর্ণ অবাস্তব’।
এ দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কথায় মিলল সামাজিক নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার সুর। সংস্থাটি বলছে, করোনাভাইরাস ‘দীর্ঘকাল আমাদের সঙ্গে থাকবে’।
এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও সতর্ক হতে বলেছেন ডব্লিউএইচও’র প্রধান ডা. টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেয়েসাস।
আফ্রিকা, পূর্ব ইউরোপ, মধ্য আমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোয় কভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা যে ক্রমশ বাড়ছে, সেই প্রবণতা সম্পর্কেও সতর্কও করেছেন তিনি। বলেন, চলমান লকডাউন তুলে দেওয়া হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
এ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৮৩ হাজার ২৮৩ জনে। আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ লাখ ২৬ হাজার ৯২৯ জন। তবে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ লাখ ১০ হাজার ২৮৫ হাজার মানুষ।
প্রাণঘাতী কভিড-১৯ এ আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মারা গেছেন ৪৬ হাজার ৬৮৮ জন মানুষ। আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৭ জন।
মৃতের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে ইতালি। দেশটিতে মারা গেছে ২৫ হাজার ৮৫ জন। আক্রান্তে তৃতীয়স্থানে আছে দেশটি। সেখানে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩২৭ জনের মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে।
মৃতে তৃতীয় ও আক্রান্তে দ্বিতীয় স্পেন। করোনায় দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ৭১৭ ছাড়িয়েছে। আর আক্রান্ত ২ লাখ ৮ হাজার ৩৮৯ জন।
এ ছাড়া ফ্রান্সে মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৮ হাজার ১১৫ জন মানুষ।
দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বৃহত্তম দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২১ হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে। দেশটিতে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮৩ জন।
বুধবার পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৭৭২ জন। মৃতের সংখ্যা ১২০ জন।