৯৪ এ পা রাখলেন রানি এলিজাবেথ
পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক এবং দীর্ঘসময় ধরে ক্ষমতায় থাকা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। গতকাল মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) উদযাপনহীন ৯৪তম জন্মদিন পার করলেন। এমনিতেই ব্রিটেনের রানি অন্যান্য বছরগুলোতে ব্যক্তিগত পরিমণ্ডলে জন্মদিন উদযাপন করেন। এ বছর করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে যুক্তরাজ্যজুড়ে লকডাউনের কারণে জন্মদিনের কোনো আয়োজনই ছিল না। খবর রয়টার্স।
রানির জন্মদিনের অনুষ্ঠান না পালনের এটি দ্বিতীয় ঘটনা। যৌবনেও তিনি একবার জন্মদিন পালন করা থেকে বিরত থেকেছিলেন। তার বিয়েতে ‘সহচরী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন লেডি পামেলা হিকস, যিনি গত রবিবার ৯১ বছরে পা রাখেন। হিকস বলেছেন, প্রিন্স ফিলিপ তখন নেভিতে চাকরি করতেন। রানির বয়স তখন ছিল ২১ বছর।
রানি এলিজাবেথ বর্তমানে লন্ডনের পশ্চিমে উইন্ডসোর প্রাসাদে কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন। সঙ্গে রয়েছেন তার ৯৮ বছর বয়সী স্বামী প্রিন্স ফিলিপ এবং স্বল্পসংখ্যক রাজ কর্মচারী।
এদিকে, রাজপরিবারের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে রানির জন্মদিন উপলক্ষে একটি বিশেষ ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ভিডিওতে রানি এলিজাবেথের শিশু অবস্থা থেকে বেড়ে ওঠার কিছু দৃশ্য দেখা যায়। তার সঙ্গে আনন্দঘন মুহুর্তে দেখা যায় তার বোন প্রিন্সেস মার্গারেটকেও।
এই যে দিনটিতে রাজপরিবার ছাড়াও শত শত শুভাকাঙ্ক্ষী রানিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হন। এবার তাদেরও নিবৃত থাকতে হলো। দূর থেকে ডিজিটাল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সবাই রানিকে। এদের মধ্যে আছেন প্রিন্স উইলিয়াম, হ্যারিরাও। এছাড়া সারা দেশ থেকেও রানির উদ্দেশে ভেসে এসেছে শুভেচ্ছাবাণী।
প্রসঙ্গত, ১৯২৬ সালের ২১ এপ্রিল জন্ম নেওয়া রানি এলিজাবেথ ৬৮ বছর ধরে শাসন ক্ষমতা ধরে রেখেছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি কমনওয়েলথের প্রধান, সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক এবং ১৬ দেশের রাষ্ট্রীয় প্রধানের পদে আছেন।
অথচ, তার রানি হবারই কথা ছিল না। এলিজাবেথের বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জ ১৯৩৬ সালে, এক আমেরিকান ডিভোর্সি নারীকে বিয়ে করার দায়ে তার বড় ভাই অষ্টম অ্যাডওয়ার্ডকে সিংহাসনে বসার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেন। তারই সূত্রধরে ১৯৫২ সালের ২৫ বছর বয়সে রানি এলিজাবেথ অভিষিক্ত হন। ২০১৫ সালে তিনি রাজপরিবারের সবার রেকর্ডভেঙে সবচেয়ে দীর্ঘসময় ধরে ক্ষমতায় থাকা একজন হিসেবে আবির্ভূত হন।