দ্বিগুণ হতে পারে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা: জাতিসংঘ
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বিশ্বে বেড়েই চলেছে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা। এ মুহূর্তে তীব্র ক্ষুধার যন্ত্রণা ভোগ করছেন অন্তত ২৬ দশমিক ৫ কোটি মানুষ।
দেশে দেশে লকডাউনের কারণে এ সংখ্যা শিগগিরই দ্বিগুণ হতে পারে। এমনটাই হুশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘ। সেই সঙ্গে ঝুঁকি মোকাবেলায় শিগগিরই ত্রাণ তহবিল গঠনের জন্য দাতা গোষ্ঠীগুলোর কাছে জরুরি আবেদন জানিয়েছেন সংস্থার কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তারা বলছেন, ক্রমবর্ধমান ক্ষুধার সংকট ঠেকাতে এ মুহূর্তে ৩৫ দশমিক ৫ কোটি ডলার সহায়তা প্রয়োজন। রোববার দ্য গার্ডিয়ানে লেখা এক খোলা চিঠিতে দাতাগোষ্ঠীগুলোর কাছে এ আহ্বান জানানো হয়।
এতে স্বাক্ষর করেছেন জাতিসংঘের বিভিন্ন এজেন্সির প্রধান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম, কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যান অ্যাফেয়ার প্রভৃতির কর্মকর্তারা। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
করোনাভাইরাস বিশ্বের সব মহাদেশের সব দেশে এমনকি আমাজনের প্রত্যন্ত ও গহীন অরণ্যেও আঘাত হেনেছে। প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে দেশ, শহর, বন্দর ও নগর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
কোথাও কোথাও ৩ মাসের বেশি সময় ধরে ঘরবন্দি মানুষ। চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে তাদের খাদ্য ব্যবস্থা। বিমান, রেলসহ সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সরবরাহও থমকে গেছে। এ অবস্থায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছে কোটি কোটি মানুষের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. আরিফ হুসেইন বলেন, কোভিড-১৯ সম্ভবত কোটি কোটি মানুষের জন্য একটা বিপর্যয় ডেকে এনেছে।’
ইউএন ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের এক রিপোর্ট মতে, করোনা মহামারীর সবচেয়ে প্রভাব পড়েছে খাদ্য সুরক্ষার ওপর।