শিগগিরই বৈঠকে বসবে পাকিস্তান, আফগান দ্বিপাক্ষিক ফোরাম

0

শিগগিরই আফগানিস্তান-পাকিস্তান অ্যাকশান প্ল্যান ফর পিস অ্যাণ্ড সলিডারিটির (এপিএপিপিএস) বৈঠকের আয়োজন করতে যাচ্ছে ইসলামাবাদ ও কাবুল। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অবিশ্বাস কমানোর পাশাপাশি পারস্পরিক সম্পর্ক বাড়ানোর জন্যই ২০১৮ সালের মে মাসে এই দ্বিপাক্ষিক ফোরাম গঠন করা হয়। 

সোমবার টেলিফোনে কথা বলেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি এবং আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হানিফ আতমার। এ সময় এপিএপিপিএসের পরবর্তী বৈঠক আয়োজনের ব্যাপারে তারা সম্মত হন। 

আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি সম্প্রতি আতমারকে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। আতমার আফগানিস্তানের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি কারণ এর আগে তিনি দেশের স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। 

পররাষ্ট্র দফতরের দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, কোরেশি আতমারকে তার নিয়োগের জন্য অভিনন্দন জানান এবং আশাবাদ জানান যে, তার দায়িত্বকালিন সময়ে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দেশের মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়বে। 

সকল বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে তারা আলোচনা করেন। কোরেশি বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক মেকানিজমের গুরুত্বের উপর জোর দেন। তিনি আশাবাদ জানান যে, এপিএপিপিএসের পরবর্তী বৈঠক শিগগিরই অনুষ্ঠিত হবে যেটা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও জোরালো করবে। 

আতমার কোরেশিকে তার অভিনন্দনের জন্য ধন্যবাদ জানান। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার জন্য এপিএপিপিএসহ বিদ্যমান মেকানিজমগুলোকে যথাযথভাবে ব্যবহারের উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। 

এপিএপিপিএস ফ্রেমওয়ার্কের সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ইসলামাবাদে, ২০১৯ সালের জুনে। ডিসেম্বরে কাবুলে পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। দুই দেশের মধ্যে অস্বস্তিকর সম্পর্কের কারণে এই বৈঠক বিলম্বিত হয়েছে। 

পাকিস্তান যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান তালেবানদের মধ্যে চুক্তির ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করেছে, এর পরও ঘানি প্রশাসন ইসলামাবাদের ভূমিকাকে সন্দেহের চোখে দেখে। পর্যবেক্ষকরা আশা করছেন যে, এই অনাস্থা নিরসনে এপিএপিপিএসের বৈঠক সাহায্য করবে। 

পাকিস্তান ও আফগানিস্তান প্রায় একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এসেছে যে, তারা নিজেদের কৌশলগত স্বার্থ হাসিলের জন্য কিছু নির্দিষ্ট গ্রুপকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। 

আফগান নিরাপত্তা বাহিনী সম্প্রতি পাকিস্তান-বিরোধী আইসিস খোরাসানের প্রধান আসলাম ফারুকিকে গ্রেফতার করেছে। তবে তাকে পাকিস্তানের কাছে হস্তান্তর করতে অস্বীকার করেছে তারা। ধারণা করা হয় যে, আফগান কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানকে বলেছে যে, এই ধরণের ইস্যুগুলো নিয়ে এপিএপিপিএসসহ যথাযথ ফোরামে আলোচনা হতে পারে। 

এছাড়া, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফগান শান্তি প্রক্রিয়ার অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করেন। বন্দী বিনিময়ের ইস্যু নিয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ার কারণে এই শান্তি প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাচ্ছে। 

আফগান সরকার ও তালেবানরা সম্প্রতি কিছু বন্দী বিনিময় করেছে কিন্তু এমন কোন ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি যে, কবে নাগাদ আফগান-অভ্যন্তরীণ সংলাপ শুরু হতে পারে। 

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com