করোনার মধ্যেই ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর ইসরাইলি নৃশংসতা

0

আজ ১৭ এপ্রিল ফিলিস্তিনি বন্দী দিবস। অধিকৃত ফিলিস্তিনে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া সত্ত্বেও নিরপরাধ ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর নানা ধরনের নৃশংসতা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরাইল।

ফিলিস্তিন বন্দি বিষয়ক কমিটি জানিয়েছে, হানাদার ইসরাইলিদের কারাগারে বন্দী রয়েছে ৫ হাজার ৮০০ নিরপরাধ ফিলিস্তিনি যাদের ৬২ জন নারী ও ২০০ জন শিশু। ফিলিস্তিনি স্বশাসন-কর্তৃপক্ষের শাসিত এলাকার বাইরে রাখা এই ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর সব ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে বর্ণবাদী ইসরাইল। ৫৪০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে প্রহসনের বিচারে কয়েকবার করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

১৯৬৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলের পৈশাচিক নানা নির্যাতন, অবহেলা ও হামলার শিকার হয়ে শহীদ হয়েছেন ২২২ জন নিরপরাধ ফিলিস্তিনি বন্দী। এদের ৬৭ জন শহীদ হন চিকিৎসা ও ওষুধের ব্যবস্থা না থাকায়। সম্প্রতি ইসরাইলি কারাগারের চার ফিলিস্তিনি বন্দী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন করোনা আক্রান্ত অসুস্থ চিকিৎসক ও কারারক্ষীদের মাধ্যমে।

ফিলিস্তিনি বন্দীদের অবস্থা শোচনীয় বলে বার বার ফিলিস্তিনি নেতাদের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ইসরাইল এ বিষয়ে বর্বরতা অব্যাহত রাখায় ও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় সম্প্রতি ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের সঙ্গে বন্দী-বিনিময়ের প্রস্তাব দিয়েছে যাতে অসুস্থ, বৃদ্ধ, নারী ও শিশু ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্ত করা যায়।

ইহুদিবাদী ইসরাইল শর্ত-সাপেক্ষে এই প্রস্তাব মেনে নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু আলোচনার নামে ইসরাইলি নেতারা ধোঁকা দিতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে। তাই ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসসহ ফিলিস্তিনি নেতারা ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির লক্ষ্যে ইসরাইলের ওপর চাপ বাড়াতে বিশ্ব-সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ঘরোয়া রাজনৈতিক দিক থেকে নড়বড়ে অবস্থায় থাকা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বন্দী মুক্তির বিষয়টি নিয়ে প্রচারণার খেলা খেলছেন ও বাস্তবে বন্দি মুক্তির কোনো পদক্ষেপ নেবেন না বলে হামাস আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। পার্সটুডে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com