করোনা পরিস্থিতির উন্নতি, জার্মানিতে লকডাউনে শিথিলতা

চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস জার্মানিতেও থাবা বসায়। ফলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকানোর জন্য দেশটিতে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। দুইয়ের বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছিল দেশটি। মানুষের মধ্যে কমপক্ষে দেড় মিটার দূরত্ব বজায় রাখাও বাধ্যতামূলক করা হয়৷ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটার ব্যবস্থা ছাড়া দোকানবাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি অনেক স্থাপনা বন্ধ রাখা হয়েছিল৷

তবে এবার দেশটিতে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ধীরে ধীরে ওই সকল বিধিনিষেধ শিথিল করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বুধবার বিকেলে জার্মান চ্যান্সেলর এঙ্গেলা ম্যার্কেলের সাথে সকল প্রদেশের মিনিস্টার-প্রেসিডেন্টদের ঘণ্টাব্যাপী ভিডিও কনফারেন্স শেষে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।তবে কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও মেয়াদ বাড়নো হয়েছে কিছু বিধিনিষেধের। গুরুত্বপূর্ণ নতুন নিয়মগুলো হলো-

মে মাসের ৪ তারিখ থেকে  ধীরে ধীরে স্কুল খুলবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ মে মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, ২ জনের বেশি একত্র হওয়া যাবে না এবং সবসময় ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, বড় ইভেন্ট যেমন কনসার্ট, সভা, ফুটবল, কনফারেন্স ইত্যাদি কমপক্ষে আগস্টের ৩১ তারিখ পর্যন্ত নিষিদ্ধ থাকবে, পাবলিক প্লেসে এবং সুপারশপগুলোতে মাস্ক পরার জন্য জরুরি সুপারিশ করা হয়েছে। তবে বাধ্যতামূলক করা হয়নি, যে সকল দোকানের আয়তন ৮০০ বর্গমিটারের মধ্যে, শুধু তারা আগামী সোমবার (২০ এপ্রিল) থেকে খোলা রাখতে পারবে। তবে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রেস্টুরেন্ট, বার এবং আবাসিক হোটেল বন্ধ থাকবে।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর এঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেছেন, আমরা যা অর্জন করেছি তা হলো একটি মধ্যবর্তী সাফল্য, বেশিও না কমও না। আমি জোর দিয়ে বলছি, এটি একটি ভঙ্গুর মধ্যবর্তী সাফল্য।

এদিকে, জার্মানিতে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৩৩ হাজার ৪৫৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭২ হাজার ৬০০ জন। যা মোট আক্রান্তের অর্ধেকেরও বেশি।

আর দেশটিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন তিন হাজার ৫৯২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৯৭ জন। যেখানে তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ছিল ৩০১ জন।