দেশে নতুন করে করোনা শনাক্ত আরও ২০৯ জন, মৃত ৭ জন

0

১৪ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ২৪ ঘন্টায় ১৯০৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

দেশে মোট করোনা শনাক্ত ১০১২। সুস্থ হয়েছে ৪২ এবং মৃত ৪৬। এখনও অসুস্থ ৯২৪ জন!
১৪/০৪/২০

বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ২০৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে দেশে শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১০১২ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক ১৯০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অনলাইনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন আইইডিসিআর। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হননি একজনও।

বাংলাদেশে ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ধাপে ধাপে বাড়তে থাকে শনাক্ত রোগী।

গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে বৈশ্বিক মহামারিতে পরিণত করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ১৮ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মারা গেছেন এক লাখ ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে সোয়া চার লাখের মতো রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও গত ক’দিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। সবশেষ হিসাবে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮০৩। মারা গেছেন ৩৯ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪২ জন।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে; যার মূলে রয়েছে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। মানুষকে ঘরে রাখতে রাজপথের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ।


সোয়াইন ফ্লুর চেয়ে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর ঝুঁকি ১০ গুণ বেশি : ডব্লিউএইচও

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, সোয়াইন ফ্লুর চেয়ে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর ঝুঁকি ১০ গুণ বেশি। সোয়াইন ফ্লুর কারণে ২০০৯ সালে বিশ্বে মহামারি ছড়িয়ে পড়ে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পুরোপুরি ঠেকাতে হলে অবশ্যই ভ্যাকসিনের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরস আধানম গোবিয়াসেস জেনেভা থেকে সোমবার এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে বলেছেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নতুন ভাইরাসটি সম্পর্কে সংস্থাটি অব্যাহতভাবে জানার চেষ্টা করছে। এই ভাইরাসের কারণে বিশ্বে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৮ লাখ লোক সংক্রমিত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা জানি কোভিড-১৯ দ্রুত ছড়ায় এবং আমরা জানি, এই ভাইরাস ২০০৯ সালের ফ্লু মহামারির চেয়ে ১০ গুণ বেশি মৃত্যু ঝুঁকিপূর্ণ।

ডব্লিউএইচও বলেছে, সোয়াইন ফ্লু বা এইচওয়ান এনওয়ান সংক্রমণে ১৮,৫০০ লোকের মৃত্যু হয়েছে, ২০০৯ সালের মার্চে এই ফ্লু প্রথম মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ে। তবে, ল্যানসেট মেডিকেলের হিসেবে এই সংখ্যা ১৫১,৭০০ থেকে ৫৭৫,৪০০ লোকের মৃত্যু হয়েছে। জুনে এটিকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। ল্যানসেট তাদের হিসাবে আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার হিসাব যুক্ত করেছে, যা ডব্লিউএইচও’র হিসাবে আসেনি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com