বেকায়দায় ইমরান খান, করোনা ঠেকাতে ব্যর্থদের বরখাস্তের নির্দেশ
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে আরও একবার প্রশ্নবানে জর্জরিত হলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ঠেকাতে পাকিস্তানের ব্যর্থতায় তার সরকারকে দায়ী করেছে দেশটির প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদ। এতে ইমরানকে রীতিমতো বেকায়দায় ফেলে দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এক শুনানিতে ইমরান সরকারের রাজনৈতিক সংকট, দুর্নীতি, কাজের অস্বচ্ছতা ও করোনা ইস্যুতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্যর্থতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। একই সঙ্গে করোনা ঠেকাতে ব্যর্থতার দায়ে জড়িতদের বরখাস্তের নির্দেশ দেন ইমরান সরকারকে। খবর এশিয়ান লাইটের।এরই করোনার ব্যর্থতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাফর মির্জাকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের আদালত। প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদ বলেন, দুর্নীতিবাজদের এই সরকার উপদেষ্টা বানিয়েছে, একই অবস্থা মন্ত্রীদেরও। তাদের ব্যর্থতায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে মহামারী করোনা। আমি দুঃখজনক হলেও বলতে চাই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উপলব্ধির বাইরে রয়েছে করোনার প্রকৃত সংকট ।
এদিকে, পাকিস্তানে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯৩ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে এক হাজার ৯৫ জন। পাকিস্তানের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে পাঞ্জাবে। এই রকম পরিস্থিতি নানা রকম দুর্নীতি ও মাস্ক পাচারসহ প্রশ্ন উঠেছে ইমরান সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানেও করোনা দিনদিন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দেশের এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান করোনা মোকাবিলার জন্য বিশ্বের কাছে আর্জি জানিয়েছেন ঋণ মওকুপের। এমনকি ইমারান খান নড়বড়ে অর্থনীতির মধ্যেও করোনার বিরুদ্ধে লড়তে ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন। চিকিৎসার খরচ যোগানোর জন্য ইমরান খান জাতিসংঘ, আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছে।