করোনার উৎস নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে দ্বন্দ্বের মধ্যেই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিল চীন
করোনাভাইরাস, বিশ্বব্যাপী এক আতঙ্কের নাম। ইতোমধ্যে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে থাবা বসিয়েছে এই ভাইরাস।
এতে এখন পর্যন্ত (সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা) আক্রান্ত হয়েছে ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ১৫৫ মানুষ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ২৪৭ জনের।ভাইরাসটি সর্ব প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে। এখান থেকেই প্রাণঘাতী এই ভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে বলে অনেকের ধারণা।
ভাইরাসটি চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার মার্কন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এটিকে ‘চায়না ভাইরাস’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। তাদের দাবি, উহানের গবেষণাগার থেকে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে চীন। বরং তারা এটিকে আমেরিকার কারসাজি বলে মনে করছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দাবি করেছেন, আমেরিকার সেনাবাহিনী উহানে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে।
করোনাভাইরাসের উৎস নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে দ্বন্দ্বের মধ্যেই এ বিষয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিল চীন সরকার। ভাইরাসটি উৎস নিয়ে গবেষণাপত্র প্রকাশের ওপর নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করল দেশটির সরকার।
চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বিধিনিষেধ আরোপ করে নোটিশ জারি করা হয়, যা দেশটির দুটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজ নিজ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। যদিও পরে সেটি ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলা হয়েছে।
প্রকাশিত ওই নোটিশে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের উৎস নিয়ে যেকোনও অ্যাকাডেমিক গবেষণাপত্র চীন সরকারের অনুমতি ব্যতীত প্রকাশ করা যাবে না। গবেষণাপত্রটি অবশ্যই চীন সরকার কর্তৃক ব্যাপকভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে।
চীনের এক গবেষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চীন সরকারের এই পদক্ষেপ ভাইরাসটির বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যাপক বাধার সৃষ্টি করবে।
তিনি আরও বলেন, “ভাইরাসটি মূল উৎস খুঁজে বের করার উদ্যোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে এটি চীন সরকারের একটি সমন্বিত পদক্ষেপ। তারা এই রোগটি নিয়ে কোনও বস্তুনিষ্ঠ গবেষণা ও অনুসন্ধান সহ্য করবে বলে আমি মনে করি না। সূত্র: সিএনএন