স্পেনের স্বস্তির নিঃশ্বাস টিকলো না ২৪ ঘণ্টাও
করোনায় বিপর্যস্ত স্পেনে টানা ১৮ দিনের মৃত্যুর রেকর্ডে স্বস্তি এসেছিল শনিবার। গত ২৩ মার্চের পর ওইদিন দেশটিতে করোনায় মারা যান ৫১০ জন; যা দুই সপ্তাহের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন। কিন্তু একদিনের ব্যবধানে ইউরোপের এই দেশটিতে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ এ আবারও মৃত্যু বেড়েছে। শনিবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ৫১০ জনের মৃত্যু হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় সেই সংখ্যা ৬১৯।
এ নিয়ে স্পেনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৯৭২ জনে। এর আগে গত ১৮ দিনের মধ্যে স্পেনে সবচেয়ে কম মৃত্যুর রেকর্ড ছিল শনিবার। সোমবার স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঘোষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে, করোনায় মৃত্যু কমে আসায় স্পেনের সরকার দেশটির নির্মাণ খাত ও প্রয়োজনীয় শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত লাখ লাখ শ্রমিককে সোমবার থেকে কাজে ফেরার অনুমতি দিয়েছে। দুই সপ্তাহের কঠোর বিধি-নিষেধে শিথিলতা এনে স্প্যানিশ সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ৩০ মার্চ থেকে দেশটির এ দুই খাতের শিল্প-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে সরকার।
এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মী; যারা বাসায় থেকে কাজ করতে পারছিলেন না তারা এখন কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারবেন। স্যানিটারি, নিরাপত্তা, টেলিযোগাযোগ, কাস্টমস, খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ, বিদ্যুৎ সরবরাহ, খনিজ এবং তেল উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত কর্মীরা কাজে ফিরতে পারবেন।
কর্মীরা যাতে ভাইরাসে সংক্রমিত না হন সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া দেশটির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। করোনার বিস্তার রোধে স্পেন সরকার আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। তবে প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো স্যাঞ্চেজ জরুরি অবস্থার সময় আরও বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
স্পেনে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ১৯ জন; যা বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বিশ্বে এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৩৩ হাজার ১১৫ এবং মারা গেছেন ২০ হাজার ৫৮০ জন। এছাড়া বিশ্বের ২২০টির বেশি দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ১৭ লাখ ৯০ হাজার ৮২৪ এবং প্রাণ হারিয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৬৬২ জন। তবে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৪ লাখ ৯ হাজার ৫৬৮ জন।