আফগান নেতাদের প্রতি পম্পেও: তালেবানের সাথে চুক্তি করো, নয়তো পূর্ণ মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের ঝুঁকি নাও

0

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভয়াবহ হতে থাকা করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে নিয়োজিত থাকলেও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও দুই সপ্তাহ আগে তার বসের কাছ থেকে কঠিন বার্তা নিয়ে কাবুল সফর করেছিলেন। হোয়াইট হাউসে তিন বছরের বেশি সময় ধরে অবস্থানের সময় তিনি তার পররাষ্ট্রনীতিতে অন্যতম যে অর্জনটি (তথা আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা) হাসিল করেছেন, সেটি সমুন্নত রাখতে চান, এই বার্তাই তিনি দিতে চেয়েছেন।

ট্রাম্পের বার্তা পম্পেও আফগান সরকারের বিবদমান নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দিয়ে বলেছেন, তাদের উচিত হবে তাদের বিরোধ মিটিয়ে ফেলা ও শান্তিচুক্তিটি অনুসরণ করা। তিনি তাদের বলে দিয়েছেন যে তারা যদি তা না করে তবে আফগানিস্তানে কেবল এক বিলিয়ন ডলার সাহায্যই হ্রাস পাবে না, সেইসাথে দেশটি থেকে সব সৈন্যও প্রত্যাহার করা হবে। সাবেক এক সিনিয়র কর্মকর্তা ও এক বিদেশী কূটনীতিবিদ এই তথ্য প্রকাশ করেছেন।

ট্রাম্প আগেও সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আসলে আফগান নেতারা ঐক্যবদ্ধ হতে অক্ষম বলেই মনে করেন তিনি। কাবুল সরকারের মধ্যে বিভাজনের ফলে তালেবানের সাথে শান্তিচুক্তির পরবর্তী করণীয়গুলো করা হচ্ছে না।

ওয়াশিংটন ও তার মিত্ররা আশঙ্কা করছে যে এসব শর্ত পালন না করা হলে শান্তিচুক্তি স্থিতিশীল হবে না। আর কাবুল সরকারের মধ্যে বিভাজনের সুযোগ নিয়ে তালেবান আলোচনার টেবিলে ও রণাঙ্গনে তাদের অবস্থান মজবুত করবে।

কর্মকর্তারা বলছেন যে কাবুলে অচলাবস্থা ট্রাম্পকে হতাশ করেছে। তিনি আশা করছেন যে ২০১৬ সালে নির্বাচনী প্রচারণার সময় আফগানিস্তানে শান্তিচুক্তি করবেন বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে তার মুখ রক্ষা হয়েছে। করোনাভাইরাসের থাবা বিস্তার করার আগে তিনি একে তার নির্বাচনী প্রচারণায় কাজে লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ নিয়েছিলেন।

কিন্তু কাবুলের কর্মকর্তারা তার উদ্যোগের প্রতি তেমনভাবে সাড়া না দেয়ায় কঠিন বার্তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের বার্তা নিয়ে কাবুল গিয়ে আশরাফ ঘানি ও আবদুল্লাহ আবদুল্লাহকে একসাথে মিলে কাজ করতে বলেছেন পম্পেও। উল্লেখ্য, উভয়েই নির্বাচনে জয়ী হওয়ার দাবি করে একই দিনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন।

আবদুল্লাহকে পম্পেও বলেছেন যে তাকে অবশ্যই ঘানিকে সমর্থন দিতে হবে। হোয়াইট হাউস আশা করেছে যে পম্পেও ঠিকমতোই বার্তাটি পৌঁছে দিয়েছেন।

কিন্তু তবুও আশরাফ ঘানি ও আবদুল্লাহ ভিন্ন অবস্থানেই রয়েছেন। তারা কেউ ওয়াশিংটনের হুমকিতে তাদের অবস্থান ত্যাগ করছেন না।

এদিকে ২৭ মার্চ তালেবানের সাথে আলোচনার জন্য যে ২১ সদস্যের প্রতিনিধিদলের কথা ঘোষণা করেছেন ঘানি, তা তালেবান প্রত্যাখ্যান করেছে। মজার ব্যাপার হলো, তালেবান এই প্রত্যাখ্যানের পর আবদুল্লাহ বলেছেন, এই দল আন্তঃআফগান আলোচনার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com