লকডাউনে ব্রিটেনে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে ২৫ শতাংশ
লকডাউনে ব্রিটেনসহ অন্যান্য দেশে নারী নির্যাতন বেড়েছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতারেস বলেছেন, করোনাভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাবের সময় বিশ্বব্যাপী নারীর প্রতি পারিবারিক সহিংসতা বেড়ে গেছে বহুগুণ।
বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু ব্রিটেনে নয়, লকডাউনের মধ্যে বিশ্বব্যাপী বেড়েছে নারীর প্রতি পারিবারিক নির্যাতন।
ব্রিটেনের পারিবারিক সহিংসতার বিষয়ে সহায়তা দেয় দ্য ন্যাশনাল ডমেস্টিক অ্যাবিউজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, সম্প্রতি তাদের হেল্পলাইনে সাহায্য চাওয়ার পরিমাণ বেড়ে গেছে। দুই সপ্তাহ আগে যখন লকডাউন ছিল না, তখনকার তুলনায় বর্তমানে সাহায্য চাওয়ার পরিমাণ বেড়েছে ২৫ শতাংশ। ঘরে আটকে থাকার ফলে নারীরাই মূলত তাদের বন্ধু বা স্বামীর নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের এই সময় সব দেশের সরকারকে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছেন গুতেরেস। করোনাভাইরাস মোকাবিলার কৌশলে সরকারগুলোকে এ বিষয়টিও যুক্ত করতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বিবৃতি ও ভিডিও বার্তায় তিনি লড়াইরত পক্ষগুলোকে ফের যুদ্ধবিরতির আহ্বানও জানিয়েছেন।
ব্রিটেনের দ্য ন্যাশনাল ডমেস্টিক অ্যাবিউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লকডাউনের সময় নির্যাতনের শিকার নারীরা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে তাদের ঘরেই থাকতে হচ্ছে। তবে কেউ কেউ নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে লকডাউনের মধ্যেই ঘর ছাড়ছেন।
ঘর ছেড়ে পালানো এক নারী বিবিসিকে বলেন, ছয় মাস ধরে তার স্বামী তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছে। তবে কয়েকদিন আগে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই সেই নির্যাতন বেড়ে গেল বহুগুণ। বাধ্য হয়ে এই দুর্যোগের মুহূর্তে তিনি ঘর ছেড়েছেন।
ওই নারী এখন ওয়েলসের একটি সেবামূলক সংগঠনের তত্বাবধানে রয়েছেন। ব্রিটেনে লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়লে পারিবারিক সহিংসতার পরিমাণও বহু গুণ বেড়ে যাবে।
পারিবারিক সহিংসতা নিয়ে কাজ করেন স্যান্ড্রা হোরলে জানিয়েছেন, গত বছর শুধু ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ১৬ লাখ নারী পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছিলেন। এ বছর এ সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তিনি।