কোথায়, কবে প্রথম করোনা সংক্রমণ, অবশেষে জানাল চীন
অবশেষে করনাভাইরাস কবে, কোথায় ধরা পড়েছিল সেকথা স্বীকার করে নিল চীন। মঙ্গলবার চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ডিসেম্বরের শেষে উহান শহরে ধরা পড়েছিল এই ভাইরাস।
বিশ্বজুড়ে যখন করোনাভাইরাসের উৎস নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তখন চীন জানান যে ২০১৯-এর ডিসেম্বরে মাসের শেষে উহান শহরেই প্রথম ধরা পড়ে এই ভাইরাসের সংক্রমণ।
চীনে এই ভাইরাসে ৩,৩৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৮১,৭৪০ জন। চীনে এখনও ১২০০ জনের চিকিৎসা চলছে। বাকিদের চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
অনেকেরই বক্তব্য, চীনের উহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছিল এই মারণ ভাইরাস, যদিও এর কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। তবে এই ধারণাকে খুব সম্ভবত বিশ্বাস করতে চলেছে ব্রিটেনও। এর আগে অবশ্য ডোনাল্ড ট্রাম্প বারেবারেই এ ব্যাপারে চীনকে দোষী ঠাউরিছেন, এবার সেই একই রাস্তায় ইংল্যান্ডও।
সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইলকে একটি স্বাক্ষাৎকারে ব্রিটেনের কোবরা কমিশনের জানিয়েছেন, উহানের গবেষণাগারে এই মারণ ভাইরাস তৈরির সম্ভাবনাকে কোনও ভাবেই উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, চীনের উহান শহরেই রয়েছে অত্যাধুনিক গবেষণাগার। যা কিনা আবার উহানের পশু বাজার থেকে কয়েক মাইল দূরে।
সব মিলিয়ে এই ভাইরাস করোনা নিয়ে ফের একবার কিছুটা হলেও চাপে পরে গেল চীন। কারণ, এর আগে ইসরায়েলি ও মার্কিন বিজ্ঞানীরা চীনা ল্যাবকে দোষী বানালেও এবার ওই একই রাস্তা নিল ব্রিটেনও।
এর আগে চীনে করোনায় কতজন মারা গেছে সেই সংখ্যার ওপর প্রশ্ন চিহ্ন তোলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বেজিংয়ের সরকারি তথ্যের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, করোনার যে সংখ্যা চীন দেখাচ্ছে তা আসলে ভুয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, চীন নিজেদের দেশে ভাইরাস আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে। পাশাপাশি ট্রাম্পের দাবি চীনে মোটেই করোনা সংক্রমণ থেমে যায়নি। ভুল তথ্য দিচ্ছে চীন।
মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের দাবি, হুবেই প্রদেশে চীনে করোনায় মৃতের সংখ্যা প্রচুর। কিন্তু সেই তথ্য চেপে রেখে আসলে ভুয়া খবর বাজারে ছড়িয়েছে চীন।
মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্ট, বহু বছর ধরে ভাইরাসের কারণে হুবেই প্রদেশে মৃত্যু হচ্ছে প্রচুর মানুষের। কিন্তু গোটা আন্তর্জাতিক মহলকে বোকা বানিয়ে যাচ্ছে বেজিং।
অন্যদিকে চীনের দাবি, তারা করোনা রুখতে সক্ষম হয়েছে। দেশের একাধিক জায়গা থেকে লকডাউন তুলেও নেয়া হয়। এমনকি করোনা আক্রান্ত হুবেই প্রদেশ থেকে বাড়ি ফেরেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। চীনা সরকার জানায় তাদের জনজীবন ছন্দে ফিরছে।