অধিকৃত কাশ্মীরের জনসংখ্যার মানচিত্র বদলাতে ভারত সরকারের ‘অবৈধ’ প্রচেষ্টার কড়া সমালোচনা করেছে পাকিস্তান

0

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বৃহস্পতিবার বলেছেন যে, অধিকৃত কাশ্মীরের জনসংখ্যার চেহারা বদলাতে ভারত সরকার যে ‘অবৈধ’ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে পাকিস্তান। 

ভারত সরকার নতুন যে বাসস্থান আইন প্রণয়ন করেছে, সেদিকে ইঙ্গিত করে তিনি এ মন্তব্য করেন। এই আইন অনুযায়ী ভারতের যে সব নাগরিক অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে ১৫ বছর বসবাস করেছে, তারা এ অঞ্চলকে নিজেদের বাসস্থান দাবি করতে পারবে। 

বুধবার ভারত সরকার একটি গেজেট নোটিশ জারি করেছে, যেখানে বলা হয়েছে যে, অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে যে ব্যক্তি ১৫ বছর ধরে বাস করে আসছে বা সেখানে যারা সাত বছর ধরে লেখাপড়া করেছে এবং সেখানকার কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দশম বা দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে, তারা এই অঞ্চলের স্থানীয় হিসেবে গণ্য হবে। 

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী টুইটারে এক পোস্টে বলেছেন যে, ভারত সরকারের নতুন এই বাসস্থান আইন “সমস্ত আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তির পরিপন্থী”।

যে সময়ে এই পদক্ষেপ নেয়া হলো, সেটাকে ‘বিশেষভাবে নিন্দনীয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মনোযোগ যেহেতু এখন কোভিড-১৯ মহামারীর দিকে, সেটাকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করে ভারতীয় জনতা পার্টি তাদের ‘হিন্দুত্ববাদী’ এজেন্ডাকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। 

পররাষ্ট্র দফতর এর আগে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে যে, রিঅর্গানাইজেশান অর্ডার ২০২০ আন্তর্জাতিক আইন ও জেনেভা কনভেনশানের লঙ্ঘন। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, ভারত কাশ্মীরের ‘জনসংখ্যা ও এর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য’ পাল্টে দেয়ার জন্য যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, সেটির ব্যাপারে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে পাকিস্তান। 

“বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সঙ্কটের এই সময়ে ভারতের সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপ বিশেষভাবে নিন্দনীয় কারণ এখানে কোভিড-১৯ মহামারীর ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগের কারণে এটাকে সুযোগ হিসেবে অপব্যবহার করে ভারতীয় জনতা পার্টির ‘হিন্দুত্ববাদী’ এজেণ্ডাকে আরও এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে”।

বিবৃতিতে জাতিসংঘ ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, যাতে তারা ভারতের পদক্ষেপের দিকে নজর দেয় এবং “অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে” তাদেরকে জবাবদিহীতার মুখোমুখি করে। 

গত মাসে, পাকিস্তান ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল যাতে অধিকৃত কাশ্মীরে তারা যোগাযোগ অবরোধ উঠিয়ে নেয় এবং উপত্যকায় কোভিড-১৯ এর বিস্তার ঠেকানো ও কাশ্মীরীদের দুর্ভোগ কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রির সরবরাহ নিশ্চিত করে। 

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com