খরচ বাড়লো ২.৭ বিলিয়ন ডলার

0

টোকিও অলিম্পিক গেমস পিছিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন আয়োজক জাপান। আয়োজক কমিটির প্রধান নির্বাহী তোশিরো মুতো বলেন, ‘সেসব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি তা একে একে সমাধান নিশ্চিত করা প্রয়োজন আমাদের। আমাদের ধারণা অতিরিক্ত খরচের অঙ্কটা অনেক বড় হবে। লাভের মুখ দেখতে প্রচুর শ্রম দিতে হবে।’ কত টাকা বাড়তি ব্যয় হবে সেটি বলেননি মুতো। তবে দেশটির শীর্ষ সংবাদমাধ্যম নিক্কেই ডেইলির মতে- ভেন্যু রেন্টাল, হোটেল রিবুকিং বিল, স্টাফ-সিকিউরিটি গার্ডস ও অন্যান্য কর্মচারীদের মুজুরি বাবদ অতিরিক্ত ২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২২৭,০১২,৫৯৮,০০০ টাকা। আলোচনা সাপেক্ষে খরচ আরেকটু কম হতে পারে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
টোকিও অলিম্পিক আয়োজক কমিটির প্রধান ইয়োশিরো মরি বলেন, ‘অলিম্পিক এমন সমস্যায় পড়েনি আগে। টুর্নামেন্ট পিছিয়ে যাওয়ায় অনেক অদৃশ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে।

টোকিও অলিম্পিকের স্টাফদের কঠিন অভিজ্ঞতা হবে যা ইতিপূর্বে হয়নি।’ বৈশ্বিক এই আসর উপলক্ষে হাজার হাজার বিদেশি পর্যটক জড়ো হতেন জাপানে। টোকিওর বিলাসবহুল হোটেলগুলো প্রস্তুত ছিল তাদের বরণ করে নিতে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রকোপে বিশ্বজুড়ে পর্যটক ব্যবসায় ধস নেমেছে। নিক্কেই ডেইলি জানিয়েছে, জাপানের হোটেল মালিকদের মাথায় হাত। তাদের জুলাই-আগস্টে শত শত রুম এখন খালি থাকবে। যা জাপানের অর্থনীতিতেও বিরূপ প্রভাব ফেলবে। ২৪শে জুলাই থেকে ৯ই আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল সামার অলিম্পিক। কিন্ত কভিড-১৯ মহামারির কারণে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি এবং টোকিও আয়োজক কমিটি গত ২৪শে মার্চ ঘোষণা করে ২০২১ সালের গ্রীষ্মে আয়োজন করা হবে গেমসটি। তবে নির্দিষ্ট কোনো তারিখ ঠিক হয়নি। মরি বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’ যত বাধাই আসুক আগামী বছর টোকিওতে অলিম্পিকের মশাল জ্বালাতে চান তিনি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com