‘সকাল থেকে সন্ধ্যা কেবল এম্বুলেন্সের সাইরেন শুনি’
নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রভাবে স্থবির বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন। এরই মধ্যে স্থগিত করা হয়েছে সব ধরনের ফুটবল। বিভিন্ন দেশের ক্রীড়া সাংবাদিকদের কাজও সীমিত করেছে বহু দেশের সংবাদমাধ্যম। করোনার সংক্রমণ এড়াতে অনেক ক্রীড়া সাংবাদিক কাজ করছেন বাড়িতে বসে। তাদেরই একজন দিলেত্তা লেওত্তা। ২৮ বছর বয়সী এই টিভি সাংবাদিক কাজ করেন ডিএজেডএন টেলিভিশনের ইতালি শাখায়। বৃটেনভিত্তিক চ্যানেলটি ইতালির শীর্ষ ফুটবল আসর সিরি আ লীগের লাইভ স্ট্রিমিং সহযোগী। করোনা ভাইরাসের আগ্রাসী রূপের সবচেয়ে বড় শিকার ইতালি।
এ ভাইরাসের সংক্রমণে একের পর এক মৃত্যু দেশটিকে ভয়ংকর বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে। মিলানে বসবাসরত ডিএজেডএন উপস্থাপক দিলেত্তা লেওত্তা নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড পত্রিকা দ্য সানকে। তিনি বলেন, ‘ইতালির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমি খুব চিন্তিত। আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা কেবল অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন শুনি। আমরা কঠিন সময় পার করছি। সবাই এই অবস্থা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছে। অনেকটা ফুটবলারদের মাঠের খেলায় মরিয়া হয়ে লড়াই করার মতো।’
‘আমার সৌভাগ্য যে আমি নিজের বাড়িতে বসে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। তারকা খেলোয়াড়দের সাক্ষাৎকার নিচ্ছি। তারা যেসব সচেতনামূলক পরামর্শ দিচ্ছেন সেগুলো সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি। আমি ফুটবল ভালবাসি এবং ভীষণভাবে তা মিস করছি। কিন্তু ফুটবলের চেয়ে জীবন অনেক মূল্যবান। সবার স্বাস্থ্যগত সুরক্ষার জন্য সরকারের সিদ্ধান্তগুলোকে সম্মান করা উচিত।
খেলাধুলা বিষয়ক চ্যানেলগুলো ইতালির পুরনো খেলা সম্প্রচার করছে। ম্যাচগুলো আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে নিজেদের সামর্থ্য। কঠিন মুহূর্তগুলো কিভাবে কাটিয়ে ওঠা যায় তার সবচেয়ে ভালো উদাহরণ ফুটবল ম্যাচ।’
ইতালিয়ান বিভিন্ন ক্লাবে খেলা ফুটবলারসহ স্টাফরাও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আরো আগে ফুটবল বন্ধ করা উচিত ছিল। যদিও পরিস্থিতি খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের আরো লড়াই করতে হবে। ভালো সময় হয়তো খুব কাছেই।’